
ওঙ্কার ডেস্ক: পানামা খালকে ঘিরে এবার জোরদার পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকা ফৌজের সদর দফতরে পাঠানো হল নয়া নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পানামা খালে মার্কিন সেনার উপস্থিতি আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ‘অন্তর্বর্তিকালীন জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলগত নির্দেশিকা’য় পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সমস্ত রকম ‘সামরিক বিকল্প’ গুলি পর্যালোচনা করারও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের অভিযোগ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের পরবর্তি সময় থেকেই আমেরিকান জাহাজ গুলো থেকে বেআইনি ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়াও তাঁর অভিযোগ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝ বরাবর রয়েছে পানামা খালটি এবং সর্বোপরি প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে এই খালটি যুক্ত করায় খালটির উপর তীব্র আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে চিন। সেই কারণেই নানান গুরুত্বপূর্ণ ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ট্রাম্প।
১৯৭৭ সালে আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মূলত এক চুক্তির ভিত্তিতে পানামার হাতে পানামা খালের সম্পুর্ন দায়িত্বটি সোপে দিয়েছিলেন। তার আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ দায়িত্বভার ছিল আমেরিকার হাতে। মার্কিন সরকারের বিশেষ তৎপরতার মাঝেই পানামা সরকার নতি স্বীকারের সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও পানামা খালের সুরক্ষায় তারা দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সুত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের দাবি মেনে পানামা খাল ছাড়তে রাজি নয় পানামা সরকার। বরং চিনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে সে দেশের সরকার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।