
বাবলু প্রামাণিক,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:বঙ্গে এখন শীতের আমেজ। আর শীত মানেই ভোজনরসিক বাঙালীর কাছে জয়নগরের মোয়া। মোয়া বলতেই বাঙালি বোঝে জয়নগর। কিন্তু সত্যিই কি জয়নগরেই এই মোয়ার উৎপত্তি ? খেজুর গুঁড়ের রসে মোড়া মোয়ার জন্মস্থান নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, সুস্বাদু আহারই যেন বাঙালীর ভরসা। আর শীতের মরসুমে বাঙালীর ঘরে ঘরে সুপারহিট খেজুর গুঁড়। পিঠে, পুলি, পায়েস, সন্দেশ এসবের পাশাপাশি জয়নগরের মোয়া ছাড়া যেন শীত অসম্পূর্ণ। কিন্তু এই মোয়ার উতপত্তি নিয়ে নানান মানুষের নানান মত রয়েছে। এই নিয়ে বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডারের অধিকত্তা গণেশ দাস বলেন রায়মঙ্গল কাব্যের বহরু গ্রামই হল জয়নগরের মোয়ার আঁতুড় ঘর।
আবার বহরু গ্রামের জনৈক যামিনীবুড়ো এই মোয়ার জন্মদাতা, এমনটাই জানালেন এখানকার ঐতিহ্যপূর্ণ শ্যাম সুন্দর মিষ্টান্ন ভান্ডারের অধিকর্তা বাবলু ঘোষ ও রঞ্জিত ঘোষ।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গ্রাম, এই বহরুকে নিয়ে রয়েছে এমনই নানান গল্প। শোনা যায় কনকচূড় ধান থেকে খই ও নলেন গুড় দিয়ে মোয়া তৈরি করার অনুষ্ঠানে নাকি উপস্থিত থেকে মোয়ার সুখ্যাতি করেন স্বয়ং মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব। এরপরই লোকমুখে জনপ্রিয়তা লাভ করে বহরু থুড়ি জয়নগরের মোয়া। কাজেই অরিজিনাল মোয়া খেতে আসতে হবে বহরু এলাকায়,অন্তত এমনই দাবি এলাকাবাসীদের।