
তামাসী রায় প্রধান,ওঙ্কারঃ সন্দেশখালির বেড়মজুর ১-এ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে ধাওয়া করলেন এলাকার মহিলারা। তাড়া খেয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন অজিত। জনরোষের মুখে পড়ে দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি ইস্তফা দিতে চাইলেন, টিম শাহাজানের সৈনিক অজিত মাইতি।
নারী নির্যাতন, জমি, ভেড়ি দখল, একের পর এক নালিশের পাহাড় সন্দেশখালির শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। গত ৫২ দিন ধরে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম। বেপাত্তা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজান। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর রোষের মুখে পড়েছেন সিরাজউদ্দিন, অজিত মাইতির, বিনয় সর্দারের মত এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতারা।
রবিবারও রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক এবং পদস্থ পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকা। বেড়মজুর ১-এ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে ধাওয়া করলেন এলাকার মহিলারা। তাঁদের হাতে ঝাঁটা, শাড়ি, শাঁখা। মহিলাদের তাড়া খেয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন অজিত মাইতি। আর জনরোষের মুখে পড়ে দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি ইস্তফা দিতে চাইলেন। সবমিলিয়ে, শিরোনামে সন্দেশখালি।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রোষের মুখে পড়েন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তাঁর বাড়িতে চড়াও হন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়। ইটবৃষ্টিও হয়। কোনক্রমে এলাকা ছেড়ে ক্ষুব্ধ জনতার রোষ থেকে মুক্তি পান ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, জোর করে জমি,বাড়ি,ভেড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে ।