
বিপ্লব দাশ : ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার হুমকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তার হুমকি চোখে পড়ছে ভারতেও। ইতিমধ্যে এ দেশে হাজার ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্ত। চারজনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। কেরল, মহারাষ্ট্রে এর মাত্রাটা বেশি হলেও বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গ। এখানে এখনই বারো জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ। তার মধ্যে একটি সদ্যজাত শিশুও রয়েছে। করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ধন্ধে চিকিৎসকরাও। তা কতটা সংক্রামক হতে পারে তা নিয়ে সংশয়ে থাকলেও, এই ভ্যারিয়েন্ট যে যথেষ্ট মারমুখী তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা কোথায় ? এত তাড়াতাড়ি কি করোনার মহামারী মুছে গেল স্মৃতি থেকে। সারা বিশ্ব জুড়ে দু বছর ধরে যে তান্ডব চালাল এই খুনে ভাইরাস, তা তো বেশি দিন হয়নি ! মাত্র তিন বছর আগে বিশ্বের সেই হাহাকারে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না কিছু। এখন করোনার চরিত্র সম্পর্কে চিকিৎসক সমাজের কিছু জ্ঞান হয়েছে, হয়তো কিছু প্রতিশেধক উপযোগী হতে পারে। কিন্তু তা যে বিপদ মুক্ত নয় তার প্রমাণ চারজনের মৃত্যু। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু, না সরকারের তরফে, না জনজীবনের মধ্যে, করোনা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্চ চোখে পড়ছে না। দেখা যাচ্ছে না সাবধানতা। এই ঢিলেঢালা মতিগতি বুমেরাং হয়ে যাবে না তো !
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা নিয়ে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, জরুরী চিকিৎসা সাহায্য বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার কার্যকরিতা কই ! করোনাকালে আমরা দেখেছিলাম, প্রতিশেধক হিসেবে ঘটা করে দেশ জুড়ে ঘন্টা বেজেছিল, শাঁখ বেজেছিল ঘরে ঘরে। আর তার পরামর্শ দিয়েছিলেন আমাদেরই হর্তাকর্তা। এবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বুকবাজানো দেশ কি কামান দাগবে ?
দেরী হয়ে যাচ্ছে ! এখনই সচেতন না হলে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা বলা মুশকিল।