
ওঙ্কার ডেস্ক : সদা প্রাণবন্ত, রসে বসে থাকা মদন মিত্র, নিশ্চিই তিনি দিলিপ-রিঙ্কুর বিয়ের খবর পেয়ে প্রথমে বলে উঠেছিলেন – ওহ্ লাভলি।
যেখানে দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। সেখানে এভারগ্রীন মদন মিত্রের মন্তব্য ছাড়া, সবটাই যেন নুন কম পান্তা। তবে হতাশ করেননি মদন মিত্র, দিলিপকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন – “সকালে রাম নয়, কৃষ্ণ ভাবুন!”—দিলীপ ঘোষকে নবপরিণীত সংসার টিপস মদন মিত্রের।
রাজনীতি পেরিয়ে এবার প্রেম-পরিণয়ের পথে রাজ্য বিজেপির ‘মাচো ম্যান’ দিলীপ ঘোষ ! দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করছেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় একেবারে আইনি পদ্ধতিতে, ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে দুই হাত এক হল এই রাজনৈতিক যুগলের।
তবে বরাবরই রসিকতায় দক্ষ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবার শুভেচ্ছার মোড়কে দিলেন হালকা ‘শৈল্পিক খোঁচা’। বললেন, “দিলীপবাবুর বাড়িতে বসন্ত এসে গিয়েছে। লাঠিসোঁটা ছেড়ে এবার সংসার ধর্মে মন দিন।” সঙ্গে রইল প্রখর রাজনৈতিক টিপসও— “সকালবেলা উঠে যদি বলেন, চলো রামমন্দিরে যাই, তাহলে ভাল লাগবে না। বরং কৃষ্ণমন্দিরে যান—রোমান্সটা জমবে।”
এই পরিণয়ের পেছনে মা পুষ্পলতা ঘোষের বিশেষ অবদান। দিলীপ নিজেই জানিয়েছেন, “মায়ের কথাতেই রাজি হয়েছি। একজন সঙ্গী দরকার ছিল, যিনি ঘর সামলাবেন, মাকে দেখবেন।” শুনে বোঝা যাচ্ছে, ‘সংসার’ নামক ইনিংসে খেলতে নামার আগে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক সেরে নিয়েছেন তিনি।
রিঙ্কু মজুমদারও জানালেন, “উনি বাইরে থেকে রাফ অ্যান্ড টাফ, কিন্তু ভিতরে একদম তুলসীপাতা !”
একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুল ও শুভেচ্ছাবার্তা, অন্যদিকে নেতাকর্মীদের ভিড়—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম ‘রাজনৈতিক বিবাহ’। শেষ কথা ? দিলীপবাবুর জীবনে ‘হিন্দুত্ব’ আর ‘হৃদয়’ এখন হাত ধরাধরি করে হাঁটছে। রাম না কৃষ্ণ—তা সময়ই বলবে!