
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ ইলেক্ট্রোরাল বন্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এদিন এসবিআই-এর অতিরিক্ত সময়ের আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আগামিকাল অর্থাৎ ১২ মার্চের মধ্যেই ইলেক্ট্রোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ১৫ মার্চের মধ্যে সেই তথ্য তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে।
ইলেক্ট্রোরাল বন্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সুপ্রিম কোর্টে টিকল না এসবিআইয়ের সময় সীমা বৃদ্ধির আর্জি। সোমবার মামলার শুনানির পর এসবিআই-এর অতিরিক্ত সময়ের আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আগামিকাল অর্থাৎ ১২ মার্চের মধ্যেই ইলেক্ট্রোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ১৫ মার্চের মধ্যে সেই তথ্য তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে।
প্রসঙ্গত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক এবং ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কোন সংস্থা বা ব্যক্তি ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত ইলেক্ট্রোরাল বন্ডের মাধ্যমে কোন কোন দলকে কত টাকা চাঁদা দিয়েছিলেন তা এসবিআইকে ৬ মার্চের মধ্যে জানাতেও নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এসবিআই শীর্ষ আদালতে আর্জি জানায় ৩০ জুনের আগে তাদের পক্ষে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এদিন সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে উঠলে একই সওয়াল করেন এসবিআইয়ের আইনজীবী হরিশ সালভে। হরিশ সালভে শীর্ষ আদালতে জানান পাঁচ অর্থ বর্ষের আর্থিক লেনদেনের নির্ভুল হিসেব দিতে আরও সময় প্রয়োজন। কিন্তু এসবিআইযের আইনজীবীর যুক্তি মানতে চায়নি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হরিশ সালভের কাছে জানতে চান ২৬ দিন আপনারা কি করছিলেন, তা আমরা নজর রেখেছি। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন আপনারা ফাইলের কভারটা খুলুন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিন। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ১৫ মার্চের মধ্যে সেই তথ্য তাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে। স্পষ্টতই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে যথেষ্টই চাপে পড়ল এসবিআই। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল বিজেপি এবং মোদিকে বাঁচাতেই টালবাহানা করে সময় নষ্ট করতে চাইছে এসবিআই। কারন ৩০ জুনের মধ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। বিরোধীদের অভিযোগ ইলেক্ট্রোরাল বন্ডের মাধ্যমে শিল্পপতিদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ এর মধ্যে ৬ বছরে রাজনৈতিক দলগুলি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল বলে অভিযোগ। এরমধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৬৫৬৪ কোটি টাকারও বেশি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে অনেক পেছনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৩৫ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা তৃণমূল পেয়েছিল ১০৯৬ কোটি টাকা। বাম সহ বিরোধীদলগুলি বারবারই অভিযোগ করে আসছিল নির্বাচনী বন্ডের নাম করে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। কালকে তালিকা প্রকাশের পরই বোঝা যাবে অভিযোগের সারবত্ত্বা।