
মধুপর্ণা সাহা: শীতকালে অনেকেই ঈষদুষ্ণ জলপান করেন। এমনকী নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জল খেলে নাকি একাধিক রোগ বিশেষ করে সর্দি কাশি এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা ঈষদুষ্ণ জলের একাধিক উপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে ব্যস্ত। তাঁদের কথায়, শীতের দিনে ঈষদুষ্ণ জল খেলে তেমন একটা লাভ হয় না।তাই এমন হিমেল দিনে ‘নর্মাল ওয়াটার’ খাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করছেন তাঁরা।এখন প্রশ্ন হল, তাহলে কি শীতের দিনে ঈষদুষ্ণ জলপান করলে কোনও লাভই মিলবে না? এই বিষয়ে বিশদে ডায়েটিশিয়ানরা কি বলছে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত এই সময় বাতাসে একাধিক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এইসব জীবাণুর আক্রমণের সামনে পড়লে পিছু নিতে পারে সর্দি, কাশির মতো সমস্যা।শুধু তাই নয়, রোজ সকালে কুসুম গরম জলপান করলে এইসব ছোটখাট শারীরিক সমস্যাকে অনায়াসে প্রতিরোধও করতে পারবেন। তাই শীতের দিনে ঈষদুষ্ণ জলপান চালিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
দ্বিতীয়ত, রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলপান করলে মলের গতিবিধি বাড়ে। এমনকী মল হয় নরম। তাই তো রোজ সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ জলপান করলে অচিরেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলার সম্ভাবনা বাড়ে। এমনকী পাইলস রোগীদের জন্যও এই পানীয় মহৌষধির সমান। তাই শুধু শীতকাল কেন, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অর্শের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা সারা বছর খালিপেটে ঈষদুষ্ণ জলপান করতেই পারেন।
এবার প্রষ্ন সারাদিনে কত গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলপান করতে পারে ?
শিতকালে অনেকেই সারাদিন ধরে ঈষদুষ্ণ জলপান করছেন। তবে এভাবে সারাদিন গরম জল খেলে পেট ও অন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই দিনে ১ গ্লাসের বেশি গরম জল খাওয়া উচিত না। তার বদলে সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে নর্মাল ওয়াটার খাওয়ার চেষ্টা করাই ভাল।