
অমিত কুমার দাস : নবান্নের সামনে ব়্যালি করার অনুমতি দিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সরকারি কর্মচারীদের র্যািলির অনুমোদন দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশে জানান, হাওড়া পুলিশ কিছু শর্ত আরোপ করতে পারবে। দেড় হাজারের কম লোক নিয়ে ব়্যালির অনুমোদন দেন বিচারপতি মান্থা। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, মাত্র দুঘন্টার জন্য নবান্ন বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে হবে ব়্যালি। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।
সওয়াল জবাবে রাজ্যের আইনজীবীর প্রশ্ন, নবান্ন বাস স্ট্যন্ডে ব়্যালি কিভাবে সম্ভব? হাওড়ার ওই এলাকায় অফিস, স্কুল রয়েছে। তার জন্য সমস্যা হবে। প্রশাসনের একটা গাইডলাইন আছে। সেটা মান্যতা দিতে হবে। কোনও ব়্যালি হলে যানজটের সমস্যা হবে। নবান্নের বদলে হাওড়া ময়দানে করলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘রেল মিউসিয়াম থেকে বেশি দূরত্ব নয় বাস স্ট্যান্ডের। আমার নিজের ওই রাস্তার অভিজ্ঞতা আছে। ব়্যালি দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিতে পারি বড়জোর। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবণের সামনে সরকারি কর্মচারীরা সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে চান। এটুকু তাদের অধিকার আছে, মন্তব্য বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।
এদিন মিছিলের অনুমতি সংক্রান্ত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কো – অর্ডিনেশন কমিটির কোনও আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় পিছিয়ে যায় শুনানি। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার।