
গোপাল শীল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। সরকারি মতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার খবর যতই ছড়িয়েছে ততই সোনারপুরের দুই বন্ধু এখনও নিখোঁজ থাকার ঘটনা মনে পড়ছে এলাকার মানুষের। ২০২৩ সালের ২রা জুন করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, আহতও হয়েছিলেন বহু মানুষ।কিন্তু ওই ট্রেনে থাকা সোনারপুরের দুই যুবকের এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি । দীপঙ্কর মন্ডল ও অক্ষয় মিস্ত্রি দুই বন্ধু কাজের খোঁজে সোনারপুর থেকে পাড়ি দিয়েছিল। অক্ষয়ের বাড়ি সোনারপুরের অন্যদিকে দীপঙ্কর সোনারপুরে মামার বাড়িতে থাকত। পাশাপাশি এলাকায় থাকার সুবাদে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।ট্রেনে ওঠার পর দুজনের সাথেই তাদের পরিবারের শেষ কথা হয়েছিল। সন্ধের দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুই পরিবারের লোকেরাই বারবার ফোন করলেও সেই ফোন কেউ রিসিভ করেনি।অক্ষয়ের মা জানান বিভিন্ন জায়গায় তারা খোঁজাখুঁজি করেছেন তবুও কোন খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা এলেও পরে আর কারোর হদিস পাওয়া যায় নি। এখনো পর্যন্ত দুই পরিবারই ছেলের অপেক্ষায় আছে ।কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার খবরে পুরানো স্মৃতি উসকে দিয়ে এখনো কাঁদছে দুই পরিবারের লোকজন ।