
বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : ১১ জন ব্রাক্ষ্মণ বসল বিয়ে দিতে। সানাই যেমন বাজল তেমনই গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে নানি মুখ সবই হল নিয়ম রীতি মেনেই। ৫০ কিলো কাঠে হল হোমের যজ্ঞ। এমনই বিয়ের আসর বসল বারুইপুরের সদাব্রতঘাট ঘাট সংলগ্ন আদি গঙ্গার পাড়ে হনুমান মন্দির ও কীর্তনখোলা মহাশ্মশানের মধ্যবর্তী এলাকায়। না মানুষের বিয়ে নয়, বট গাছের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হল অশ্বত্থ গাছ. আয়োজক তপন সাহা বলেন, ‘বেশি পরিমানে গাছ লাগানোর বার্তা দিতেই এই আয়োজন। অশ্বত্থ গাছের মধ্যে ভগবান বিষ্ণু বিরাজ করেন। বটগাছে রয়েছেন মা লক্ষ্মী। সেই জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই বিয়ের আসর’।
তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। এই বিয়ের আসরে হাজির বাড়ির গৃহবধূরা। বটগাছকে নতুন শাড়ি পরান তারা, অশ্বথ গাছকেও পরানো হয় নতুন ধুতি। জল আনা থেকে গায়ে হলুদ, বিয়ের কোনও নিয়মই বাদ যায়নি। হলুদ পাড়ের শাড়ি পড়ে গৃহবধূরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন আয়োজনে। কেউ হয়েছেন বর পক্ষের লোক। কেউবা কনে পক্ষের। সানাই, ঢাক-ঢোলের আওয়াজ দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল। ভুরিভোজের আয়জনেরও খামতি ছিল না এই বিয়েতে। মেনুতে ছিল পোলাও, আলুর দম, চাটনি।
গাছ আমাদের ভগবান, গাছকে বাঁচাতেই হবে. শহর থেকে গ্রামে যখন অবাধে চলছে গাছ কাটা তখন এই বার্তা দিতেই এমন উদ্যোগ গ্রামবাসীদের।