
অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সুপার কাপের পরে আইএসএল ডার্বিতেও ফেভারিট হয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল। গত কয়েকবছরের চিত্রটা ছিল ঠিক উল্টো। ডার্বিতে ফেভারিট মোহনবাগান আর ভরাডুবি ইস্টবেঙ্গলের। এই ছবিটা বদলে দিয়েছেন লাল হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। আর সুপার কাপ জয়ের পরে তো ইস্টবেঙ্গলে মশাল জ্বলছে। ডার্বিতে নামার আগে লাল হলুদের হেডস্যার কিন্তু বাস্তববাদী আর সতর্ক। তিনি বললেন,’ কোনও ট্রফি জয়ের পর অনেক ক্ষেত্রেই মনোসংযোগে বাধা আসে। এর আগে আমি বেঙ্গালুরুর কোচ থাকাকালীনই হয়েছে। আমরা সদ্য সুপার কাপ জিতেছি। মনোসংযোগে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা নিয়েই কাজ করছি। তবে আমার প্লেয়ারদের প্রেরণার অভাব নেই। তাঁদের মধ্যে আত্মতুষ্টিও আসেনি।এটুকু বলতে পারি। আরও একটা বড় ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। মনে রাখতে হবে আইএসএলের পয়েন্ট টেবলে মোহনবাগান আমাদের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। এই ম্যাচ জিতে আমাদের তিন পয়েন্ট নিতেই হবে। গ্যাপটাকে যতটা সম্ভব কমাতে হবে। আমরা এই ম্যাচে তিন পয়েন্টের লক্ষ্যেই নামব।’ তবে ইস্টবেঙ্গলে রয়েছে সমস্যা। বোরহা, সিভেরিওকে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। চোট সারেনি হরমোনজ্যোৎ খাবরার। কার্ড সমস্যায় পাওয়া যাবে না সৌভিককে। কুয়াদ্রাত কিন্তু বলে গেলেন,’এই ম্যাচে আমরা চার বিদেশিকে নিয়েই খেলব। টিমের প্রতিটা প্লেয়ারের ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমরা ভালো খেলছি। আরও দুই বিদেশি যোগ দেবে। ওরা আসার পর টিম আরও উন্নতি করবে বলেই মনে করি। আর বোরহা নিজেই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিল, ওকে আটকাতে চাইনি। আমাদের এই দল জেতার ক্ষমতা রাখে।’এদিকে ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি ক্লেটন সিলভাও বলে গেলেন,’ডার্বি আর সুপার কাপ জেতার পরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভালোবাসা দেখেছি। যা সত্যিই আমার ভালো লেগেছে। এই আবেগ সত্যিই অভূতপূর্ব। সমর্থকদের আর একটা ডার্বি উপহার দিতে চাই।’