
বিপ্লব দাশ : রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে পদত্যাগের কথা ভাবলেও মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবেই থাকবেন। দু দিন ধরে চূড়ান্ত নাটকীয়তার পর এই স্পষ্টীকরণ দিল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এখন ইউনূস বলছেন, বাধা অতিক্রম করে তিনি দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিষয়টা হল, কিসের দায়িত্ব পালন আর কিসেরই বা প্রতিশ্রুতি ! যার জন্য তিনি হটাৎ দায়িত্বশীল হয়ে উঠলেন ইউনূস ! তাঁর ক্ষমতায় আসার ভিত্তিটাই অগণতান্ত্রিক এটাই বলছেন তাঁর দেশের রাজনৈতিক দলগুলি, এমন কি সাধারণ মানুষও। দেশের মধ্যে চূড়ান্ত অচলায়তন তৈরি করে, আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশের মুখ পোড়াচ্ছেন ইউনূস। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর একের পর এক পদক্ষেপ ইতিমধ্যে তাঁকে একজন লোভী, স্বার্থান্বেষী এবং ক্ষমতালিপ্সু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যে কারণে তাঁর বাংলাদেশের ক্ষমতায় অভিষেক সেটাই দূরে ঠেলে কী করে টিকে থাকা যায় সেটাই করে চলেছেন। নানা ছলছুতোয় দেশের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে চলেছেন। ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও, হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে।
যদিও প্রথম থেকেই সে দেশের সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার সবরকম প্রচেষ্টাই তিনি করে চলেছেন। যদিও সুবিধা করতে পারেননি। আর এখানেই তাঁর ভয়। দু দিন ধরে তাঁর পদত্যাগ করার নাট্যরূপ এই সিকোয়েন্সে গড়া। কেননা, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, তার নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানদের নিয়ে তিন দিন আগে ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। উদ্দেশ্য একটাই, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যেন নির্বাচন হয়, কারণ সেনাবাহিনী এখন অভিভাবকহীন, যা একটি রাষ্ট্রির পক্ষে আদৌ সুখকর নয়। ঠিক এখানেই ভয় পেয়ে যান ইউনূস। কারণ বিএনপিও নির্বাচনের জন্য লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছে। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার। বিএনপি বলছে, সম্মানের সঙ্গে গদি ছাড়ার লোক নন ইউনূস।