
বিপ্লব দাশ : ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংঘাত চরমে। পরিস্থিতি এমন, যেন এখনই আমূল কিছু পরিবর্তন হলে অবাক হবার কিছু নেই। প্রথম থেকেই ইউনূসের আগমনকে ভালো চোখে দেখেনি বাংলাদেশ সেনা। এবার একের পর এক ছুতোয় যে ভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে বোধ হয় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। নানান ইস্যুতে মতবিরোধ এখন তুঙ্গে। এমন অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সুরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, “গত ন’মাস ধরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অভিভাবকহীন”। এই কারণেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
এমনিতেই বার বার সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোধিতায় নেমেছে বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, “অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে ইউনূস সরকার”। এবার সেনাপ্রধান আরও এক ধাপ এগিয়ে ইউনুসের সরকারের সংস্কারের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে”। সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। ঢাকার ‘সেনা দরবারে’ উপস্থিত সেনা অফিসারদের ওয়াকার বলেছেন, জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করণীয় তাই করবে সেনাবাহিনী। তাঁর কথায়, “ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়”। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য মহম্মদ ইউনুস সরকারের জন্য অশনি সঙ্কেত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেনা অভ্যুত্থান হতে চলেছে বাংলাদেশে ? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।