
গোপাল শীল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল একই পরিবারের আট জনের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমার ঢোলাহাটে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, অবৈধ ভাবে বাজি কারখানা চলছিল। যার ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসন্তী পুজোর জন্য একটি ঘরে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে নটা নাগাদ হঠাৎই বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের জেরে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখানেই ঝলসে মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ৮ জনের। মৃতদের নাম অরবিন্দ বণিক (৬৫), প্রভাবতী বণিক (৮০), সান্ত্বনা বণিক (২৮), অর্ণব বণিক (৯), অস্মিতা বণিক (৮ মাস), অনুষ্কা বণিক (৬) এবং অঙ্কিত বণিক (৬ মাস)। বাজি বিস্ফোরণের ফল্র আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্যি ছিলেন সুতপা বণিক। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বাজি তৈরি ও মজুত রাখা হত বলে স্থানীয়দের দাবি। এ বিষয়ে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা বলেন, ‘বাজি তৈরি করার সময় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুরো বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে।’ তাঁর আরও দাবি, বৈধ লাইসেন্স ছিল কারখানাটির। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক বার আপত্তি জানানো হলেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।
অন্যদিকে এই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যেই ফের আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা। ভূপতিনগর, এগ্রা, বজবজ, কল্যাণী… তালিকাটা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। রাজ্যের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আরও কত দুর্ঘটনা ঘটবে?’