সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান৷ সোমবার সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য রাখার কথা ছিল৷ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ হয় ২১ মিনিট। যার মধ্যে দলীয় সাংসদ নাদিমুল হক নাতিদীর্ঘ তিন মিনিটের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নিয়ে সরব হন। ডেরেকের জন্য ১৮ মিনিট সময় বরাদ্দ করে রাজ্যসভার সচিবালয়৷ সেই মত সোমবার বিকেলে রাজ্যসভা কক্ষে ডেরেক বক্তব্য রাখা শুরু করার সময়েই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় তাঁকে জানান তাঁর জন্য ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হচ্ছে৷ এর প্রতিবাদ করেন ডেরেক৷ শুরু হয় বাদানুবাদ। যদিও পরে চেয়ারম্যানের সম্মতিতে বক্তব্য রাখেন ডেরেক ও’ব্রায়ান৷
ডেরেক তাঁর ভাষণে প্রথমেই বলেন, ‘আমাকে আমার সেই সংসদ ফিরিয়ে দিন যে সংসদের অবমাননা করা হবে না, যেখানে প্রধানমন্ত্রী এসে জবাব দেবেন সব প্রশ্নের, যেখানে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হবে, সব জরুরি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে৷ যেখানে সব সাংসদকে ভোট দিতে দেওয়া হবে অবাধে, কৃষি বিলের মত কন্ঠরোধ করা হবে না৷’ বক্তব্যের শুরু থেকেই ডেরেক মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন৷ তাঁর দাবি দিন দুয়েক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার চলার সময়ে বীর সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর দিনে একটিও প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রধানমন্ত্রী৷ সেদিন সন্ধ্যায় তাকে দেখা গিয়েছিল দিল্লিতে দলের সদর দফতরে পুষ্প বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে জি-২০ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য সতীর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি নেতাদের হাত থেকে গোলাপের তোড়া নিতে৷ এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির ছদ্ম জাতীয়তাবাদের নিদর্শন বলে অভিযোগ করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ এর পরেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জানান, ডেরেকের সময়সীমা শেষ করা হচ্ছে৷ বলার সঙ্গে সঙ্গেই এদিনের মত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান৷ এর পর সংসদের গান্ধি মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বাকি বক্তব্য শেষ করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান৷