
নিজস্ব সংবাদদাতা : দিঘায় জগন্নাথধামকে ঘিরে যে বিতর্ক চলছে তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করলে তা নিয়ে প্রশ্ন হয় না, কালীঘাট নিয়ে প্রশ্ন হয় না। দুর্গাপুজো, কালীপুজো করি প্রশ্ন হয় না। তবে, দিঘায় জগন্নাথধামটা গায়ে লেগেছে।’’ ওই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন দিন সক্রিয় ভূমিকা দেখা গিয়েছিলো পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দয়িপতিকে। তাঁকে শোকজ করেছে ওড়িশা সরকার। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরি হওয়ায় অনেকের গায়ে লেগেছে।
৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। এই মন্দিরকে ঘিরে অভিযোগ ২০১৫ সালের পুরীর মন্দিরের নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্টাংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘার জগন্নাথের বিগ্রহ। তবে, এই প্রসঙ্গে মমতা জানান, ”ওরা বলছে আমি নাকি নিমগাছ চুরি করেছি। আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে ! এত খারাপ সময় আসেনি যে নিমগাছ চুরি করতে হবে। জগন্নাথের মূর্তি কিনতে পাওয়া যায়। অনেকের বাড়িতেও আছে। শুনেছি, এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দয়িতাপতিকে ডেকা পাঠানো হয়েছে। আমরা তো সকলে পুরীতে যাই। আমরা তো এত প্রশ্ন করি না। এত গায়ে লাগছে কেন? এত হিংসে কেন? হিংসের কোনও ওষুধ হয় না।’’
এই প্রসঙ্গে ওড়িশার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওড়িশায় আলুর টান পড়লে বাংলা তার জোগান দেয়। সাইক্লোনের থেকে শুরু করে রাস্তার পাইপ নষ্ট হলে আমরা ইঞ্জিনিয়ার পাঠাই। তারপরও আমরা একটা জগন্নাথধাম তৈরি করলে অসুবিধা কি ? এছাড়াও তিনি জানান, ওড়িশায় বাংলার কথা বললেই মার্ধর করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় অন্যান্য রাজ্যেও তাই হচ্ছে। তবে কেন এরকম করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, বাংলাতেও দেড় কোটির বেশি মানুষ আছেন। তবেঁ, আমরা কারোর ওপর অত্যাচার করবো না।এই বিষয়ে মমতা জানান, ওড়িশার সাথে এছাড়াও বাকি রাজ্যের সাথে কথা বলব । মুখ্যসচিব চিঠি পাঠাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিবকে।
গত বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় জগন্নাথের বিগ্রহে। তবে জগন্নাথের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরের সেবায়েতেদের মধ্যে কারা উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও কোন কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার।