
স্পোর্টস ডেস্ক :ছাড়তে হয় লাল-হলুদ বাহিনীকে। তার আগের ম্যাচেও বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে একই ঘটনা ঘটে।
এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত বলেন, “আসলে আমাদের দলে এ বার অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। ওদের আরও পরিণত হয়ে উঠতে হবে। এই হারটা আমাদের কাছে একটা বড় শিক্ষা। বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচেও এ রকম হয়েছিল। আমাদের মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে, যাতে এই কঠিন দলগুলোর বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারি”।
কোচের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো এই কথাগুলি ঠিকই, কিন্তু তাঁর এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখনও যদি দলের খেলোয়াড়রা পরিণত হয়ে উঠতে না পারেন, তা হলে গত চার মাস ধরে নিয়মিত একসঙ্গে মাঠে নেমে কী লাভ হল?
যদিও আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কোচ কুয়াদ্রাত বলছেন, এমন বেশিদিন চলতে দেবেন না তিনি, “এই ভুলগুলো শোধরাতে হবেই। গত ম্যাচে একটা পেনাল্টি আমাদের শেষ করে দিয়েছিল, এই ম্যাচে একটা ফ্রি কিকের জন্য আমরা খেলা থেকে হারিয়ে গেলাম। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের। প্রতি ম্যাচে এমন হতে দেওয়া যাবে না”।সুযোগ নষ্ট করাও ইস্টবেঙ্গলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারার অন্যতম একটি কারণ। এ পর্যন্ত তারা চারটি ম্যাচে মাত্র এগারোটি শট গোলে রাখতে পেরেছে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে ২২টি শট। ৩২টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে তারা, যার মধ্যে গোলে পরিণত হয়েছে মাত্র চারটি। যতই তাদের আক্রমণ বিভাগ খাতায় কমমে শক্তিশালী হোক না কেন, এই পরিসংখ্যানে উন্নতি না ঘটাতে পারলে এ মরশুমেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে প্রথম ছয়ে থাকা কঠিন হবে।
লিগের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর লাল-হলুদ কোচ বলেছিলেন, “আমরা সবে মরশুম শুরু করছি এবং অনেক কিছুই ক্রমশ উন্নতি হবে। অনেক ভাল ভাল সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে গেলে ছবিটা পুরো বদলে যেত। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ গোল শোধ করার জন্য আরও ওপেন হয়ে যেত এবং আমরাও আরও আক্রমণ করতে পারতাম”।
সে দিন সারা ম্যাচে অনেকগুলি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। দলের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হাভিয়ে সিভেরিওই সবচেয়ে বেশি সুবর্ণ সুযোগ পান। কিন্তু কোনওটাই কাজে লাগাতে পারেননি। গত মরশুম থেকে আইএসএলে টানা ১১টি ম্যাচে গোল করতে পারলেন না তিনি, যা তাঁর কেরিয়ারে সবচেয়ে খারাপ সময়। এ বার এখন পর্যন্ত একটিও অ্যাসিস্ট করতে পারেননি তিনি। এমনকী একটিও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। ১৫৮ মিনিট মাঠে থেকে একটি মাত্র শট গোলে রাখতে পেরেছেন তিনি। তাঁর এই খারাপ ফর্ম ভোগাচ্ছে গোটা দলকে।