
ওঙ্কার নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ও ফের অশান্ত হয়ে উঠলো হরিয়ানার কৃষক আন্দোলনের রণক্ষেত্র। হিসারে মার মুখী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে হরিয়ানার পুলিশ নির্বিচারে লাঠি এবং টিয়ার গ্যাস চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
এই কৃষকেরা হরিয়ানা পাঞ্জাব সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অন্যদিকে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব জুড়ে কৃষকরা শুক্রবার কালা দিবস পালন করেন কৃষক হত্যার প্রতিবাদে। এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর এসেছে বহু জায়গা থেকে কৃষকরা বিশাল বিশাল গরুর পাল কে সামনে রেখে সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ১৪ই মার্চ দিল্লিতে কিষান মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়ে রেখেছে।
পাশাপাশি কৃষকেরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে ভারতবর্ষের বেরিয়ে আসবার দাবি তুলেছেন জোরালো ভাবে। কৃষক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোট ছয়জনের কমিটি তৈরি করেছেন শম্ভু বর্ডারের আন্দোলনরত কৃষকেরা। রাজনৈতিক মহলের অভিমত শম্ভু বর্ডারের কৃষকদের এই নাছোড়বান্দা লড়াইয়ের জন্য রাকেশ টিকায়েত সমেত অন্যান্য কৃষক নেতাদের ওপরে চাপ বাড়ছে। তারই প্রতিফলন ১৪ই মার্চ দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেওয়া। নির্বাচন সম্ভবত ঘোষিত হতে চলেছে আট বা নয় মার্চ। সুতরাং কৃষক আন্দোলন যে এই লোকসভা নির্বাচনের সামনে একটা ইস্যু হয়ে থাকছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য শুভকরন সিং নামে ২১ বছর বয়সী এক কৃষক শম্ভু বর্ডারে নিহত হন দুদিন আগে।
পুলিশ সরাসরি মাথায় গুলি করে তাকে মেরে ফেলেছে, বলে কৃষক নেতৃত্বের দাবি।
হরিয়ানা সরকার ওই কৃষক পরিবারকে ১কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু নিহত ও যুবকের পরিবার এক কোটি টাকার এক ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।