
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখা নদী থেকে অবৈধ বালি তোলার কাজ চলছিল নির্বিঘ্নে। গোপীবল্লভপুর থানার চোখের সামনে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চলছিল বালি পাচার। কখনও নকল নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি, কখনও আবার ভুয়ো সিও ব্যবহার করে নদী থেকে তুলে আনা হচ্ছিল বালি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নয়াগ্রাম থানার পুলিশ বড়সড় অভিযান চালায়। নয়াগ্রাম থানার আইসি সুদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে কালীমন্দির চত্বরে রাজ্য সড়কে চলে তল্লাশি অভিযান। সেই অভিযানেই ধরা পড়ে চারটি বালি বোঝাই ট্রাক। গ্রেফতার হয় চার জন ট্রাকচালক।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, অমরজিৎ বেরা (ভামাল, বেলিয়াবেড়া), দুখিরাম বাগ (আশকোলা, বেলিয়াবেড়া), রঞ্জিত মাইতি (খিচুড়ি জঙকা, পূর্ব মেদিনীপুর) ও অবনীন্দ্রনাথ সিংহ (বিশ্বনাথপুর, পূর্ব মেদিনীপুর)। শুক্রবার অভিযুক্তদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক বালি বোঝাই গাড়িগুলির কোনও বৈধ অনুমতি ছিল না। ব্যবহৃত সিও-গুলি ছিল নকল। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদী থেকে এই ধরনের বালি পাচারের অভিযোগ উঠছিল। প্রশাসন চুপ থাকলেও, এবার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। নয়াগ্রাম থানার পুলিশের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।