
ওঙ্কার ডেস্ক: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। অবশেষে আদালতে সেই সিদ্ধান্ত ধাক্কা খেল। প্রশাসনের এমন ফরমানের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আদালতে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
বস্টনের ফেডারেল আদালত এই সংক্রান্ত মামলায় জানিয়েছে, আপাতত বিদেশি ছাত্রদের ভর্তি নিতে পারবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই কাজে বাধা দিতে পারবে না প্রশাসন। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের ভিসাও বাতিল করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ যতক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগ রয়েছে, এ ছাড়া হিংসা ছড়ানো এবং ইহুদি বিদ্বেষ এর অভিযোগ তোলা হয় পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। আর সে কারণেই বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব ক্রিস্টি নোয়েম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘প্রশাসন হাভার্ডের কাছে জবাব চাইছে। ওরা নানা রকম হিংসা ও ইহুদিবিদ্বেষে অভিযুক্ত। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও যোগসাজেশ রয়েছে। বিদেশি ছাত্র ভর্তি করানো কোনও অধিকার নয়, এটা এক ধরনের সুবিধা মাত্র।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষ যদি ৭২ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে তাহলে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তার মাঝেই আদালত স্থগিতাদেশ দিল।