
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেছেন, ভারতের নির্ভুল আক্রমণ কেবল পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ওঙ্কার ডেস্ক : ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সাধারণ নাগরিকদের বসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তানের বেপরোয়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। তার জবাব দিতে শনিবার ভোরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বেছে নিল রফিকি, মুরিদ এবং চাকলালায় পাক সেনাবাহিনীর বিমানঘাঁটিগুলি। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহূর্মুহু হামলা চালায়। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, “ভারতের নির্ভুল আক্রমণ কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুকেই টার্গেট করেছে। আকাশ থেকে ভারতের যুদ্ধবিমান নির্ভুল নিশানা করেছে রফিকি, মুরিদ, চাকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। পসরুর এবং শিয়ালকোট বিমান ঘাঁটির রাডার সাইটগুলিতেও বোমা বর্ষণ করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী”।
ভারতের এই হামলা চলছে সতর্কতার সঙ্গে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে। তাদের একটাই লক্ষ্য, পাকিস্তান যেভাবে ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আক্রমণ চালাচ্ছে তার ক্ষমতা নষ্ট করা। এই পরিকল্পনায় সফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। এর ফলে সম্ভবত পাকিস্তানের আকাশপথে নজরদারি এবং দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমান ঘাঁটি, যা আগে পিএএফ ঘাঁটি, চাকলালা নামে পরিচিত ছিল, যা কিনা পাকিস্তানের বিমান চলাচলের স্নায়ু কেন্দ্র। এটি পাকিস্তানের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, গত ৭২ ঘন্টায় পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পিছনে এই নূর খান বিমানঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এই বিমানঘাঁটিতে SAAB 2000 রয়েছে যা ভারতীয় শহরগুলিতে পাকিস্তানের বিমান হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রফিকিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটিটি পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত। এটি মিরাজ এবং জেএফ-১৭ বিমানের উন্নত যোদ্ধা স্কোয়াড্রনগুলির আবাসস্থল এবং পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে অভিযানের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও। গত কয়েকদিন ধরে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে যে উত্তেজনাপূর্ণ বিমান হামলা চলছে তাতে রফিকি বিমানঘাঁটি ভারতের উপর পাকিস্তানের বিমান হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের আক্রমণকে বাধা দেওয়া। মুরিদ এবং চাকলালার মতো রফিকিকেও আকাশ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে টার্গেট করা হয়েছিল।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত মুরিদ বিমানঘাঁটি হল পাকিস্তানের ড্রোন অভিযানের সদর দপ্তর। এই বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের তৈরি শাহপার-১ ড্রোন এবং তুরস্কের তৈরি বায়রাক্টর টিবি২ এবং আকিনসি রয়েছে। গত দুই দিনে, পাকিস্তান সীমান্তের ওপারে শত শত ড্রোন পাঠিয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি নিরস্ত্র ছিল, যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ভারতীয় অবস্থান সনাক্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এর মধ্যে কিছু সশস্ত্র ড্রোনও ছিল। এই ড্রোনগুলির বেশিরভাগই ভারতীয় বিমানবাহিনী গুলি করে নামিয়েছে। শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে উইং কমান্ডার সিং বলেছেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত এবং সমস্ত শত্রুতামূলক পদক্ষেপ কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে”।