
ওঙ্কার ডেস্ক: অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে জাল ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং একজন দালালকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের জেএস বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিকোহাবাদ থানায় দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শিকোহাবাদ এলাকার মুস্তাফাবাদ রহছাতি গ্রামের মহেন্দ্র সিংয়ের ছেলে ললিত এবং প্রবাল যাদব জেএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা এবং বিটেকের সার্টিফিকেট কিনেছিলেন। এর পর তাদের ভাই ব্রজকিশোর ওরফে বিল্লু শিকোহাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, জেএস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুকেশ যাদব, ডিরেক্টর গৌরব যাদব, রেজিস্ট্রার নন্দন মিশ্র তাঁর ভাইদের কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন জাল শংসাপত্র দেওয়ার বিনিময়ে।
বিষয়টি নিয়ে এএসপি (গ্রামীণ) অখিলেশ ভাদোরিয়া বলেছেন, ‘একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্যও জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাজস্থানে শারীর শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় বহু প্রার্থীর জাল শংসাপত্র সামনে আসে। শিক্ষক পদে ছিলেন এমন প্রায় ২৫৪ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছে ভুয়ো ডিগ্রি পাওয়া যায়। যাচাই করার পর দেখা যায় যে জেএস বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত আসনের চেয়ে বেশি বিপিইড ডিগ্রি সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। এর পর এফআইআর দায়েরের পর এসওজি জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নন্দন মিশ্রকে গ্রেফতার করে। উপাচার্য এবং দালাল অজয় ভরদ্বাজকেও গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি, বিএসসি-এর কিছু পড়ুয়াও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।