
ওঙ্কার ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তান। দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর। তাই দুই পড়শির সংঘাত যে কোনও সময় চরম আকার ধারণ করতে পারত। সে সব বিষয় মাথায় রেখে কি তড়িঘড়ি দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামাতে উদ্যোগী হল ট্রাম্প প্রশাসন? এই প্রশ্নই এখন চর্চার বিষয়।
শনিবার সকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেদেশের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠক ডাকেন। যে কমিটি মূলত পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটিতে রয়েছেন সামরিক এবং অসামরিক শীর্ষকর্তারা। পাক প্রধানমন্ত্রীর এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নানান জল্পনা ছড়াতে থাকে। সেই বৈঠকে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। আর এই সমস্ত বিষয় কি আঁচ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প?
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে। ওই দিন জঙ্গিরা ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। ভারতের অভিযোগ, সেই ঘটনায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে। যদিও ইসলামাবাদের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাব দিতে ৭ মে ভোরে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় নয়াদিল্লি। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। তার পর বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের একাধিক জায়গায় আঘাত হানে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছিল উত্তেজনা। সেই আবহে শনিবার ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষ থামাবে বলে বিবৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই দুই দেশের তরফে সামরিক অভিযান বন্ধের ঘোষণা করা হয়।