
ওঙ্কার ডেস্ক: প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস। ইস্টারের পরের দিন সোমবারই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ইস্টার পালন করেছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভ্যাটিকান সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবারই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।গাজায় যুদ্ধ বন্ধের ডাকও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
জানা গেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংকট জনক অবস্থায় পোপ ফ্রান্সিসকে ইটালির একটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাত্র একুশ বছর বয়সে তার একটি ফুসফুসের অংশ বাদ দিতে হয়েছিল। সেই কারণে সমস্যায় আরো বেড়েছিল। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় তার দুটি ফুসফুস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সোমবার সকাল ৭ঃ৩৫ মিনিটে প্রয়াত হন পোপ ফ্রান্সিস। সারাটা জীবন তিনি ঈশ্বর ও চার্চের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

অন্যদিকে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সকল খ্রিস্টান ভাই বোনদের সমবেদনা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেল এ তিনি লিখেন, ” রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস এর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। ক্যাথলিক সমাজে সম্মানীয় স্থান পেয়েছেন পোপ। অগণিত খ্রিস্টান তাকে ধর্মীয় নেতা হিসেবে মানেন। ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানের আমার সকল খ্রিস্টান ভাইবোনেদের আমার সমবেদনা। “

শোকপ্রকাশ করে অভিষেক লিখেছেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু কেবল বিশ্বের ক্যাথলিকদের জন্যই নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি সাহস, সহনশীলতা এবং নৈতিক স্বচ্ছতার প্রতীক ছিলেন। ইস্টারে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ধর্মের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ছাড়া শান্তি থাকতে পারে না। এই বার্তা বিবেকের আয়না হিসেবে চিরকাল আমাদের কাছে থাকবে।’

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও। ২০২৪ এ ইতালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে পোপের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মোদীর। গত বছরের সেই সাক্ষাৎকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই মুহূর্তে বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়কে আমি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। পোপ ফ্রান্সিসকে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ কাছে সর্বদা তাঁর করুণ, নম্র মনোভাব এবং আধ্যাত্মিক চেতনার জন্য স্মরণ করবে। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রভু খ্রিস্টের আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি দরিদ্র ও নিপীড়িতদের সেবা করতেন। সকলের জন্য আশার আলো ছিলেন তিনি। আমি তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সর্বাত্মক উন্নয়নের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ভারতের জনগণের প্রতি তাঁর স্নেহ সর্বদা সকলের মনে থাকবে। ঈশ্বরের আলিঙ্গনে তাঁর আত্মা চিরশান্তি পাক।’