
গোপাল শীল, জয়নগরঃ কথায় আছে, ভোজন রসিক বাঙালী। সারা বছরের ঋতুচক্রে খাদ্য রসিকদের পছন্দের মেনুতে লেগেই রয়েছে কোনো না বিশেষ পদ। আর বিলাস প্রিয় মানুষদের জন্য শীতকাল মানেই মোয়া। এবার সেই মোয়া যদি হয় জয়নগরের, তবে তো সোনায় সোহাগা।
এবার সবার জন্য সুখবর নিয়ে হাজির জয়নগর। কারণ সেখানে তৈরি হচ্ছে ‘মোয়া হাব’। যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে জয়নগরে ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ। জয়নগরের প্রাণ কেন্দ্রেই পুরসভার পাশের মাঠের ধারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে মোয়া হাবের দোতলা বাড়ি। এই মোয়া হাব তৈরি হলে এখানকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন। এখানকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জড়িয়ে রয়েছেন মোয়া ব্যবসায়। কেউ প্রস্তুতকারক, তো কেউ ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগেই জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এখানকার মোয়ার সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে জয়নগরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে এসে এখানকার মোয়ার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মোয়া ব্যবসায়ী, মোয়া প্রস্তুতকারকদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত ‘মোয়া হাব’ তৈরি করার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্যের খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। মোট ৮ কোটি টাকা প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেই জানান মোয়া হাব তৈরির দায়িত্বে থাকা খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ডের এক আধিকারিক।
মোয়া হাবের দোতলা বাড়িতে থাকছে মোয়াকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র। পাশাপাশি মোয়া নিয়ে গবেষণা ও প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা। মোয়া হাব আত্মপ্রকাশ পেলে নিঃসন্দেহে এখানকার মোয়া প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী এবং মোয়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার উপকার হবে। জয়নগরের মোয়া ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে । কিন্তু কবে থেকে চালু হবে সকলের প্রিয় এই মোয়া হাব? তার আশায় দিন গুনছেন সকলেই।