
ওঙ্কার ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। এই আবহে এবার বিচারপতি নিয়োগের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা জেপি নাড্ডা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে দৌত্য শুরু করেছেন এ নিয়ে বৈঠকের জন্য।
বুধবার জেপি নাড্ডা কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের সঙ্গে কথা বলেন বিকল্প বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গেও কথা বলতে চান তিনি। কিন্তু জোড়াফুল শিবিরের তরফে অবস্থান নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রস্তাব থাকলে তা নিয়ে লোকসভা বা রাজ্যসভায় আলোচনা করা হোক।
উল্লেখ্য মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থা পাল্টাতে চেয়ে জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন চালু করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাতে অনুমোদন দেয়নি। সম্প্রতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে বস্তা ভর্তি নগদ টাকা উদ্ধারের পর রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় একাধিক বার সেই আইনের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি মন্তব্য করেন, ওই আইন থাকলে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হত না। শীর্ষ আদালত ওই আইন খারিজ করে দেওয়ায় সমালোচনা করেন তিনি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাজ্যসভার সব দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ধনখড়। সেই বৈঠকে ঠিক হয়, জেপি নাড্ডা আলাদা ভাবে সমস্ত দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে বুধবার বলেন, ‘কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা বা তাতে ভুল ধরতে পারেন না।’ শুধু তাই নয়, আইন বা সরকারি নীতি কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তির দফতরে আলোচনা হওয়া উচিত নয়। তা সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।