
শুভম কর্মকার,ওঙ্কার বাংলা; আরজিকর কাণ্ডের আবহে গার্লস হোস্টেলের শৌচালয়ে ঢুকে এক যুবকের কু- কীর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।নিরাপত্তার দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরজিকর কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নিরাপত্তার দাবিতে অনশনে অনড় জানিয়র ডাক্তারা। এই আবহে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে যুবকের কুকীর্তি। সূত্রের খবর,গার্লস হোস্টেলে এক যুবক নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে হোস্টেলের মেইন গেট দিয়ে সটান হাজির গার্লস হোস্টেলের শৌচালয়ে। পরে এক আবাসিক চিকিৎসক পড়ুয়া শৌচালয়ে গেলে ওই যুবককে শৌচালয়ে লুকিয়ে আপত্তিকর আচরণ করতে দেখেন বলে অভিযোগ। আতঙ্কে ওই আবাসিক পড়ুয়া ছুটে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার শুরু করেন। অন্যান্য আবাসিকরা শৌচালয়ের সামনে ছুটে আসেন। এরপরই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ওই যুবক শৌচালয়ের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ হোস্টেলের ওই শৌচালয় থেকে অভিযুক্তকে আটক করে। ঘটনার খবর পেয়ে লেডিজ হোস্টেলে ছুটে যান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু। বারংবার নিরাপত্তা জোরদার করার আস্বাস দেওয়া সত্বেও নিরাপত্তার এই গাফিলাতিতে অধ্যক্ষকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবী নিরাপত্তার এই চূড়ান্ত গাফিলাতির কারনে আজ দ্বিতীয় তিলোত্তমা কান্ড ঘটতে পারত লেডিজ হোস্টেলে। হোস্টেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর দাবী দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করার মাঝে তিনি অল্প সময়ের জন্য শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। তার ফাঁকেই ওই যুবক হোস্টেলে ঢুকে পড়েছিল। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু গার্স হোস্টেলে নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকরের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।