
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মঙ্গলবার বিচারপতির অমৃতা সিনহার এজলাসে ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালার শুনানি। সেখানেই ভৎসনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। মামলায় ইডির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি সিনহার। এই দুর্নীতির তদন্তে বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে ও বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। পরিপেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা ইডির কাছে প্রশ্নে জানতে চায় বাজেয়াপ্ত করতে এত সময় লাগছে কেন ? উত্তরে ইডি বলে আমরা এই মামলায় অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছি, তার রিপোর্ট আসবে।আরো কোন সম্পত্তি আছে কিনা সেটাও খোঁজা চলছে। তাই সময় লাগছে। বিচারপতি বলেন, যে গতিতে তদন্ত চলছে তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে, ED আর কিছুই পাবে না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি বিভিন্ন ভাবে তদন্ত ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা বিচারপতি সিনহা ইডির কাছে জিজ্ঞাসা করেন আপনারা কি ভেবেছিলেন যে সবকিছু খুব মসৃণ হবে ?
এদিনই যে ৯৪ জনের চাকরি অবৈধ বলে বাতিল করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেখানে নিয়োগ শুরু হোক। বলে দাবি করেন চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবীরা। পুরানো প্যানেল থেকে নিয়োগ করা যায়না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হয়। আদালত এই নির্দেশ দিতে পারে না। – সওয়াল বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবীর। আদালত ঠিক করেছে যে এবার বেআইনি চাকরি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মন্তব্য বিচারপতির। ১২ ই মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।