
সুমন গঙ্গোপাধ্যায় : শেষ পর্যন্ত কি জট কাটল? মিটলো কি সমস্যা? অন্য রাজ্যের মতো বাংলায়ও কি শেষ পর্যন্ত জোট বাঁধছে ‘ ইন্ডিয়া ‘? অসম, দিল্লী, মহারাষ্ট্র, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড, সহ গোটা দেশে কার্যত ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতা শেষ। গলার কাঁটা এক ও একমাত্র বাংলা। একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সাথে জোট চাইছে এআইসিসি। অন্যদিকে বামেদের সাথে জোটে মত প্রদেশ কংগ্রেসের। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ৪২ আসনেই লড়বে তৃণমূল। অপরদিকে কার ‘হাত’ ধরবে হাত? কংগ্রেসের এই টালবাহানায় কার্যত অসন্তুষ্ট সিপিএম সহ বামেরাও। অবস্থা এমন কংগ্রেসের সাথে জোট না করে একলা চলো পথে এগোতে চাইছে সিপিএম। অপরদিকে কংগ্রেসও ৪২ আসনেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে এআইসিসির কাছে অনুমোদনের জন্যে পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তবে এর মধ্যে ফের নতুন করে টুইস্ট দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের সাথেই আসন সমঝোতা হচ্ছে কংগ্রেসের। আর তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা হতে পারে ১০ মার্চ, তৃণমূলের জনগর্জন সভা থেকে। আর এই জোট বার্তা দিতে দিল্লী থেকে কেসি বেনুগোপাল অথবা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকারজুন খারগে আসতে পারেন আর সেদিনই ‘অফিসিয়াল’ ভাবে ঘোষনা হবে জোটের কথা। সূত্রের খবর, বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ এই তিন আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। তবে শেষ পর্যন্ত দার্জিলিং আসনও কংগ্রেসকে ছাড়তে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, একক ভাবে লড়াই করলে এই রাজ্য থেকে লোকসভাতে একটি আসনও নাও জিততে পারে প্রদেশ কংগ্রেস। এমনকী বামেদের সাথে হাত মেলালে ও খুব একটা আশাপ্রদ ফলাফল হবে বলে মনে করছে না সর্বভারতীয় কংগ্রেস। আবার প্রদেশ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ মনে করছে মমতার হাত ধরলে বাংলায় কংগ্রেসের মান কিছুটা বাঁচতে পারে, মিলতে পারে একের অধিক আসন। অপরদিকে ২০২১ এর বিধানসভার পর এই রাজ্যে লোকসভাতেও যদি তারা শূন্য হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যে অস্তিত্বহীন, গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারে লোকসভা কংগ্রেসের কাছে মরনপণ লড়াই। তাই প্রতিটি রাজ্য থেকে বেশী সংখ্যক আসন জিততে চাইছে এআই সিসি। সেক্ষেত্রে বাংলায় দলের কঙ্কাল সার চেহারার কথা অজানা নয় সোনিয়া- রাহুল- প্রিয়ানকা’র। তাই প্রদেশ নেতৃত্বর উপর খুব একটা ভরসা রাখছে না এআইসিসি। আর তাই এক কথায় প্রদেশ নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখেই জোট ফাইনাল করেছে দিল্লী। তবে শেষ পর্যন্ত যদি বেনুগোপাল বা খারগে না আসতে পারেন, সেক্ষেত্রে সোনিয়া- রাহুলের নির্দেশে জয়রাম রমেশ বা এআইসিসি’ প্রতিনিধি আসতে পারেন তৃণমূলের ১০ এর ব্রিগেড গ্রাউন্ডে