
প্রশান্ত দাস, মালদা : বেজে উঠেছে আগমণির সুর। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দুর্গোৎসবের আনন্দে মাতবে বাঙালি। চারিদিকে সাজো সাজো রব। পুজো আরও কতটা আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে যখন ব্যস্ত পূজা উদ্যোক্তারা, তখন ভূতনির ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারে অন্যরকম।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চরম বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে গঙ্গা। নদী ভাঙন নিত্যসঙ্গী হলেও গঙ্গার এই ভয়ানক রূপ কয়েক বছর দেখেননি ভূতনিবাসী।
মানিকচকের ভূতনির দামোদর টোলা পূজা মণ্ডপগুলি জলে ভাসছে। দেড় মাস ধরে ভূতনির তিনটি অঞ্চল জলের তলায়। বন্যাকবলিত প্রায় এক লক্ষ মানুষ। গত বছরের হিসাবে ভূতনির তিনটি অঞ্চলে বারোয়ারী পূজা সহ মোট ২৯ টি পূজা হয়। এর মধ্যে ২২ টি পুজো সার্বজনীন। পূজা নিয়ে মেতে থাকে ভূতনিবাসী। কিন্তু এইবারে কিভাবে পূজা হবে। পূজা কোথায় হবে। এই নিয়ে চিন্তিত সকলে।
ভূতনির তিনটি অঞ্চলে মা দুর্গার স্থায়ী মন্দির মোট দশটি। বাকি পূজা হয় অস্থায়ী পূজা মন্ডপ তৈরি করে। কিন্তু, বন্যার জলে জলমগ্ন চারিদিক। জল থৈ থৈ করছে পুজো মণ্ডপগুলো। তবে কি এবার পুজো হবে না, এখন এই প্রশ্ন ঘুরছে ভূতনির ওলিতে গলিতে।
তবে পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন। জল হলেও দেবী মূর্তিকে অন্যত্র সরিয়ে উঁচু জায়গায় মায়ের পূজো হবে। মা উমা এসে সবটা সামলে নেবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এখন সেই আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার মানুষজন।