
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান সেদেশের প্রধান।
এদিনের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে বলে তিনি আশা করছেন। ইউনুস বলেন, তিনি চান আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
বিগত শেখ হাসিনা সরকারকে নিশানা করেছেন ইউনুস এদিনের ভাষণে। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে ভয়াবহ লুটপাট কায়েম করেছিলেন, আপনারা সেটির ভুক্তভোগী ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লন্ডভন্ড অর্থনীতি রেখে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অপরাপর সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করছে। এ সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছি।’
তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, চাপে পড়ে মহম্মদ ইউনুস যতই নির্বাচনের কথা বলুন না কেন। বাংলাদেশে আপাতত নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতিমধ্যে একাধিকবার নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন। সেই আবহে ইউনুসের এই ঘোষণার পর কোন দিকে যায় বাংলাদেশ আপাতত সেদিকেই নজর সবার।