
ত্রয়ন চক্রবর্তী, কলকাতা: রবিবার ব্রিগেডের সভা থেকে এক যোগে রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল ও কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে এক যোগে সরাসরি নিশানা করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সন্দেশখালি কান্ডের পর রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও বাংলা বাঁচাতে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নয় মানুষ এক জোট হলে রাজ্যে বাঁচানো সম্ভব বলে দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম।পাশাপাশি দেশে বিজেপিকে ঠেকাতে বিরোধী শিবির যে জোটের ডাক দিয়েছে সেই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম।I.N.D.I.A ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম এক মঞ্চে দেখা গেলেও,এই রাজ্যে যে তৃণমূলের সঙ্গে আলিমুদ্দিন কোনভাবেই এক সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে থাকবে না তা আগেও বুঝিয়ে দিয়েছে অধীর-বিমানরা।।রবিবার ব্রিগেডের সভায় থেকে আগাগোড়া তৃণমূলকে নিশানা করে আর একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মহম্মদ সেলিম।২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে রবিবার হাইভোল্টেজ সভা হয় ব্রিগেডে। এই সভা থেকে বিরোধীদের উদ্যেশ্যে কড়া বার্তা দেন মহম্মদ সেলিম। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের কর্মী সমর্থকদের সুর বেধেঁ দিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, পঞ্চায়েতে ট্রেলর দেখেছেন লোকসভায় ফাইনাল হবে। এরপর ব্রিগেডে উপস্থিত জনতার সায় নেন তিনি। লড়াইয়ে কান্ডারীর আওয়াজের পাল্টা আওয়াজ তোলে উপস্থিত কর্মী সমর্থকরা।উল্লেখ্য,ব্রিগেডের এই সভায় তৃণমূল বিজেপি,মোদি মমতাকে সরাসরি নিশানা করলেও একবার রামমন্দির ইস্যু মুখে আনেননি মহম্মদ সেলিম।রবিবার বামেদের এই ব্রিগেডের দিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। কারণ দীর্ঘ ১৬ বছর পর ব্রিগেডে সভা করল ডিওআইএফআই। ব্রিগেডের এই ভীড় ইভিএম পর্যন্ত নিয়ে যেতে আলিমুদ্দিন কতটা সক্ষম হয় এখন সেটাই দেখার।