
স্পোর্টস ডেস্ক : ইস্টবেঙ্গলের পরে জয় দিয়ে সুপার কাপের অভিযান শুরু করলো মোহনবাগান। এদিন আই লিগের দল শ্রীনিদি ডেকানকে ২-১ গোলে হারালো টিম বাগান। ম্যাচের শুরুতেই ১০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান আক্রমণ শানায় শ্রীনিদি শিবিরে। জেসন কামিন্সের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করেন গুরমুখ। ১২ মিনিটের মাথায় ফের মোহনবাগানের আক্রমণ প্রতিহত হয় শ্রীনিদির বক্সে ১৫ মিনিটের মাথায় আশিস রাইয়ের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।২১ মিনিটের মাথায় টুলুঙ্গার দূরপাল্লার শট বাগানের পোস্ট এড়িয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ২২ মিনিটের কর্নার পায় শ্রীনিদি তবে গোল হয়নি। ২৭ মিনিটের পেনাল্টি পেয়ে যায় শ্রীনিদি।স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি তাঁদের উইলিয়াম আলভেজ। এরপর ৩০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন সাদিকু। যদিও এরপরই ম্যাচে কামব্যাক করে মোহনবাগান।৩৯ মিনিটে জেসন সূর্যবংশীর শট প্রতিহত হয়ে ফেরার সময় কামিন্সের সামনে চলে আসে। গোলকিপার মাটিতে পড়ে ছিলেন। কামিন্স গোল করে দেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। সেকেন্ড হাফে ৫৩ মিনিটের মাথায় কর্নার আদায় করে নেয় মোহনবাগান। যদিও গোল করতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে তুলনায় রক্ষণাত্মক শুরু করে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই পরপর আক্রমণ শানায় সবুজ-মেরুন শিবির। ৫৬ মিনিটের মাথায় লালরোমাউইয়াকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন বাগানের সুমিত।৭১ মিনিটের মাথায় সাদিকুর গোলে ২-১ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। যদিও সাদিকু এক্ষেত্রে অফ-সাইডে ছিলেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় চর্চা। ৭৩ মিনিটের মাথায় ফের গোল করার উপক্রম করেছিলেন সাদিকু। দুর্দান্ত সেভ শ্রীনিদি গোলকিপারের।৮৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন অভিষেক। ফলে রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ম্যাচের বাকি সময়টা ১০ জনে খেলতে হয় মোহনবাগানকে। ৮৯ মিনিটের মাথায় কামিন্সকে তুলে নেয় বাগান। ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে টিম বাগান।