
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত পরিস্থিতির আবহেই ফের আগুনে ঘি ঢালল ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) কাছাকাছি সামরিক প্রস্তুতি নেওয়ার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এ বার সেই বার্তারই বাস্তবায়ন— সোমবার ‘ফতেহ্’ সিরিজ়ের স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএম) পরীক্ষা করল পাকিস্তান সেনা।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সেনা মহড়া ‘ইন্ডাস’-এর অঙ্গ। মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে, শনিবারই পাক ফৌজ পরীক্ষা করেছিল ৪৫০ কিমি পাল্লার ‘আবদালি’ ক্ষেপণাস্ত্র। সেই সুরেরই দ্বিতীয় অধ্যায় যেন ‘ফতেহ্’-র উড়ান— যার পাল্লা ১২০ কিমি।
আইএসপিআর-এর দাবি, এই উৎক্ষেপণ সেনাবাহিনীর যুদ্ধপ্রস্তুতির অঙ্গ। ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত নেভিগেশন প্রযুক্তি, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা এবং মোতায়েনযোগ্যতার কার্যকারিতা যাচাই করতেই এই পরীক্ষা।
পাক সেনা সূত্রের দাবি, এই ‘ফতেহ্’ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের রুশ-নির্মিত এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ভেদ করতে সক্ষম। কারণ, এতে রয়েছে অত্যাধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ-নির্ভর দিক নির্দেশক ব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়া কঠিন করে তোলে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশন’ (জিআইডিএস)-এর তৈরি এই অস্ত্র ট্রাকবাহিত মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত স্থানান্তর এবং কৌশলগত মোতায়েন সম্ভব।
এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে দুই প্রতিবেশীর উত্তেজনা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েনের গতি যে রীতিমতো বাড়বে, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার তারই বাস্তব প্রতিফলন যেন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।