
ওঙ্কার বাংলা অন লাইন ডেস্কঃ চোখে চোখ রেখে হকের কথা বলি বলেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা, হামলা চলছে। তবে আইন শেষ কথা বলে। আইনের পথেই চক্রান্তকারীদের মোকাবিলা করা হবে। রবিবার মুর্শিদাবাদের রানীনগরে এক বিশাল সমাবেশে একথা বলেন দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি আরো বলেন, মুর্শিদাবাদের বড় সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। কিন্তু এই বিষয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য, কোন সরকারেরই বিশেষ মাথাব্যাথা নেই। অথচ পরিসংখ্যান বলছে গত তিন দশকে আড়াইশো বর্গকিলোমিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় এক লক্ষ পরিবার। নওসাদ সিদ্দিকী বলেন যে বিধানসভায় তিনি বারবার এই ভাঙন প্রতিরোধের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিন্তু সরকারের তরফে কোন প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা দরকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সহ উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবীতে তিনি সোচ্চার হন। তিনি বলেন, ভিনরাজ্যে কত মানুষ কাজ করছেন সেটা বিধানসভায় শ্রমমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেও সদুত্তর পাওয়া যায়না। ভিনরাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগের বিষয়ে আইএসএফ সরকারকে চাপ দিয়ে যাবে বলে তিনি জানান। সভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি’র আঁতাত নিয়ে দুইদলকে তিনি তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, তলায় তলায় নিজেরা আঁতাত করছেন আর বলছেন আইএসএফ নাকি বিজেপি’র দালাল। তৃনমূলের পক্ষ থেকে নাম না মিয়ে ইশারা ইঙ্গিতে জনমানসে গুজবে ছড়ানো হচ্ছে যে আইএসএফ বিজেপির থেকে অর্থ নিয়েছে, তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, সাহস থাকলে তৃনমূলের কেউ আইএসএফের নাম উল্লেখ করে বলুক যে আইএসএফ বিজেপির থেকে অর্থ নিয়েছে, তাহলে সেই তৃনমুল নেতা নেত্রীকে আমরা আদালতে টেনে নিয়ে যাবো। নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনার বিষয়েও তিনি বিধানসভায় সরব হয়েছেন বলে জানান। এদিন একই সঙ্গে তিনি সরকার নির্ধারিত শ্রমিকদের মজুরি সম্পর্কে সচেতন করেন। পাশাপাশি তিনি বিধানসভার ওয়াকফ সম্পত্তির পুনরুদ্ধার ও ঐ সম্পত্তির ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের দাবী জানান। এই মুহূর্তে উদ্ধারপ্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে কত বাৎসরিক আয় হচ্ছে তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে তিনি শ্বেতপত্রের দাবী জানান।
এই জনসভায় অন্যতম বক্তা ছিলেন আইএসএফের রাজ্যর সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। পাশাপাশি জেলার বুথস্তর থেকে দলের সংগঠনকে জোরদার করার ওপর তিনি জোর দেন। উপস্থিত ছিলেন জেলার সভাপতি হাবিব সেখ সহ জেলা ও ব্লকের নেতৃত্ববৃন্দ।