
ওঙ্কার ডেস্ক: নেপালে পুনরায় রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে পথে নেমেছে সেদেশের রাজনৈতিক দল আরপিপি-এর কর্মী সমর্থকরা। এবার রাজতন্ত্রের সমর্থক আরপিপি-এর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিল নেপাল সরকার। দুই শীর্ষ নেতা ধাওয়াল সামশের রানা এবং রবীন্দ্র মিশ্রর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি বা আরপিপি-র দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন ওই দু’জন। ইতিমধ্যেই ওই দলের দুই সাংসদ ধাওয়াল সামশের রানা এবং রবীন্দ্র মিশ্রকে দেশ না-ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নেপালের পার্লামেন্টে সে দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের পাসপোর্ট জমা রাখার দাবিও উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজতন্ত্রের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আরপিপি-এর সহ-সভাপতি রবীন্দ্র এবং সাধারণ সম্পাদক রানার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি রাজতন্ত্রের সমর্থক শতাধিক অভিযুক্তকেও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযুক্তদের সোমবার আদালতে তোলা হলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিচারক পুলিশকে ছাড়পত্র দেন। অন্যদিকে রানার পরিবারের দাবি, তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। তাই তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতে যাওয়া দরকার। কিন্তু তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
নেপালে রাজতন্ত্র ও হিন্দুত্ব ফিরিয়ে আনার দাবিতে সামিল সেদেশের রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরপিপি) এবং কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। আন্দোলন পরিচালনার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘জয়েন্ট পিপল্স মুভমেন্ট কমিটি’ বা (জেপিএমসি)। যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন মাওবাদী কমান্ডার দুর্গা প্রসাই। অভিযোগ, শুক্রবার কাঠমান্ডুতে অশান্তির সূচনা তাঁর হাত ধরেই।