
প্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর : সামনে লোকসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দল সারছে তাদের ভোট প্রচার। তবে, ভোটের লড়াই হওয়ার আগেই, চলছে দল ভাঙানোর লড়াই। এবার সেই ছবি ধরা পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে। কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের মহিষাগোট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশংকর মান্না ও প্রাক্তন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ও মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সত্যব্রত পাত্র’র হাত ধরে ৪০টি পরিবারের কুড়ি জন বিজেপি কর্মী যোগদান করলেন জোড়াফুল শিবিরে। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও জেলা সভাপতি পীযুষকান্তি পন্ডা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী দুই বিজেপি নেতার হাতে তুলে দেন দলীয় পতাকা।
গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করে হরিশংকর মান্না বলেন- ‘যারা পঞ্চায়েতে নেতৃত্ব করছে, তারা নিজেদের ইগো নিয়ে ব্যস্ত। আমরা পুরনো কার্যকর্তা, আমাদের অনেক দূরের ভাবে ওরা। তাই এখন আর ওই দলটাকে পছন্দ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নে অনেকটা এগিয়ে আছেন, তাই সামিল হয়েছি।’
অপরদিকে, বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল এই যোগদান কে কটাক্ষ করে বলেন- ‘চারটি পরিবার কিনা খোঁজ নিন. মানুষ দেখেছে, প্রতিদিন দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। সেখান থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই ধরনের নাটক করতে হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা এ বিষয় বলেন, ‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার সঙ্গে আছেন’।
তবে, ভোটের মুখে যখন সংগঠন মজবুত করতে মরিয়া সব দলই, তখন এভাবে একঝাঁক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে যোগ দেওয়া গেরুয়া ব্রিগিডের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল.