
ওঙ্কার নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার শেষ দিনে ঝড় তুললেন অখিলেশ এবং রাহুল গান্ধী। রোববার উত্তরপ্রদেশে যাত্রা শেষ করে রাহুলরা ঢুকবেন রাজস্থানে। আগ্রাতে রাহুল এবং অখিলেশের এই যাত্রায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই তরুণ নেতার তারকা আকর্ষণে রাজপথ গলিপথ উপচে গিয়েছে।
খোদা আদিত্যনাথ যোগীর রাজ্যে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে খতম করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলেন দুই যুবনেতা। উল্লেখ্য সপা কে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেস আগেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির তরফে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশে আসনরফা চূড়ান্ত না করলে সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেবে না। শুক্রবার কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির মধ্যে আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে যায়। ঠিক হয় দলিতদের উঠতি নেতা রাবণ কেউ তাঁরা সঙ্গে নেবেন।
এরপরই রবিবার আগ্রাতে মুলায়ম সিং যাদব রাহুল গান্ধীর ভারত যেন ন্যায় যাত্রায় যোগ দিলেন।
এই যাত্রাকে ঘিরে আগ্রায় সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়বার মতো। দুই নেতার ছবি একসঙ্গে নিয়ে সমর্থকদের অনেককে নাচতে দেখা যায়।
রাজনৈতিকভাবে তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোকদলের অনেক সমর্থক এই ন্যায় যাত্রায় নিজের নিজের দলের পতাকা নিয়ে হাজির হয়ে যান। যদিও জয়ন্ত চৌধুরী ইন্ডিয়া ব্লক ছেড়ে কয়েকদিন আগে বেরিয়ে গেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এন ডি এতে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় লোক দল সমর্থকদের রাহুল গান্ধীর যাত্রায় উপস্থিতি প্রমাণ করছে যে জয়ন্ত চৌধুরীর বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর দলের নিচু তলার বহু কর্মী সংগঠকরা মেনে নেননি। বিশেষ করে চলমান কৃষক আন্দোলনে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের দমন পীড়ন চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা খুব একটা ভালোভাবে নেননি। সুতরাং জয়ন্ত চৌধুরীর বিজেপির সঙ্গে যাবার সিদ্ধান্ত তার নিজের সমর্থক রায় কিভাবে নেবেন সে ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।