
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সন্দেশখালির ছায়া ক্যানিংয়ের বাসন্তীতে? তেমনটাই অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। বাসন্তীর তৃণমূল নেতা আবুল কালাম লস্করের বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেরী করার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেখানকার ১৪ জন জমির মালিক। মামলাকারীদের অভিযোগ,প্রথমে নিজের ছোট ভেরিতে মাছ চাষ করতেন লস্কর। পরে শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে ভরতগড়ে তার ভেরির আশপাশের কয়েকশ চাষীর জমি দখল করে নোনা জল ঢুকিয়ে দেয়। মামলাকারীদের আরো অভিযোগ, এক ব্যাবসায়ী তোলার ১৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় তার মাছের ভেরিতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তার সিমেন্টের গো ডাউন বন্ধ করে তার শাড়ির দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। আপাতত ১৪ জন মামলা করলেও আবুল কলম লস্করের দলবল সেখানে কয়েকশ লোকের জমি এই ভাবে দখল করেছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছু জমির মালিক নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু তারপরেও জমি দখল চলছে বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও এর আগে আবুল কলম লস্কর উল্টে হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, তার ভেরীর দখল নিতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করছে। ভয় দেখাচ্ছে। যার জেরে কলকাতা আদালত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলার এসপি কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তবে এদিন পাল্টা অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত চাষীদের মামলায় যুক্ত করার অনুমোদন দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৫ এপ্রিল পুলিশকে কেস ডাইরি কলকাতা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ।অভিযুক্ত ওই নেতা নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ গোপন করে কেন মামলা করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন, সেই ব্যাপারে তাকে হলফনামা দিয়ে জবাব দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতির। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে ওই নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।