
ওঙ্কার ডেস্ক: মহামিছিলের পর এবার এসএসসি ভবনে অভিযান। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী করুণাময়ী থেকে এসএসসি ভবনের পথে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই সল্টলেক-সহ সংলগ্ন এলাকা পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। তবু কসবা কাণ্ডের পরও যেন নির্লিপ্ত, একটাই কামনা- যোগ্যরা যেন চাকর৪ই ফেরত পান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমে তাঁরা পুলিশকর্মীদের দিকে বাড়িয়ে দিলেন গোলাপ। হয়তো মারমুখী পুলিশকে মানবিক হওয়ার বার্তা দিতে চাইলেন তাঁরা।
যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে এদিন এসএসসি ভবনে অভিযানের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও দেখা করার কথা। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন চাকরিহারা মঞ্চের ১২ জন শিক্ষক।
এসএসসির নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের আস্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। যার জেরে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা যায়নি বলেই সমগ্র প্যানেল বাতিল করা হল। এরই প্রতিবাদে সেদিন থেকে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারারা। অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে বুধবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন চাকরিহারা সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানারা।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। বিভিন্ন মহলের তরফ থেকে তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও চাকরিহারারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বের না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। ইতিমধ্যে চাকরিহারাদের একাংশ চাকরি না ফিরিয়ে দিলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনও করেছেন।
অন্যদিকে শুরু থেকেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সরকার মানবিকভাবে যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। সমস্যার সমাধানে সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিনিময়ে চাকরিহারাদের তিনি একটু ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানান বৃহস্পতিবার। তারই মধ্যে অভিযান ঘিরে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে এসএসসি ভবন চত্বরে।