
ওঙ্কার ডেস্ক : পণের দাবি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগাতার ঝামেলা চলছিল। তার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর হবে তা বুঝতে পারেনি পাড়া-প্রতিবেশী। পরে জানা গেল, স্ত্রীকে খুন করে তার দেহ দেহ টুকরো করে একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছে ওর স্বামী। শুধু দেহকে টুকরো টুকরো করা নয়, স্ত্রীর জামাকাপড়ও পুড়িয়ে দিয়েছে সে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তিতে। নিহত স্ত্রীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক সইফুদ্দিন স্বীকার করেছে, পণ নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা। রাগের বশে সে স্ত্রী সাবিনাকে খুন করে। পরে তার দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো করে নানান জায়গায় ছড়িয়ে দেয়। ওই অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেহাংশ ছড়িয়ে দিয়েছিল সে। শুধু তাই নয়, মৃতদেহের অংশ খুঁজে পেলেও যাতে তাকে কেউ চিনতে না পারে সেই কারণে হাত-পা এবং জামাকাপড় পুড়িয়ে ফেলেছিল। মৃত স্ত্রীর মুখ খুবলে বিকৃত করে দিয়েছিল।
ঘটনাটি নজরে আসে গত ১৪ মে। সাবিনার ভাই পুলিশকে জানায়, কয়েকদিন আগে লখনউ যাওয়ার কথা বলেছিল তার দিদি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সাবিনাকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয়। সইফুদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করেও কোনো সদুত্তর পায়নি। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হতে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করে সাবিনার বাপের বাড়ির লোকজন। থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরই একের পর এক দেহাংশ উদ্ধার হয়। তাতেই সন্দেহ বাড়ে যে বীভৎস এক ঘটনা ঘটিয়েছে সইফুদ্দিন। যদিও প্রথমে পুলিশের কাছে মুখ খুলতে চায়নি সইফুদ্দিন। কিন্তু পরে চাপে পড়ে ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে। পুলিশকে সে জানায় কেন এবং কি ভাবে সে স্ত্রীকে খুন করেছে। তার খুনের বিবরণ শুনে শিহরিত হয় পাড়া প্রতিবেশি, আত্মীয়স্বজন। পুলিশ তাকে জেল হেফাজতে রেখে তদন্ত করছে।