
রাজ্য বিজেপিতে কান পাতলেই এখন জোর গুঞ্জন, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সভাপতি পদে রদবদল হচ্ছে। নতুন সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দিল্লিতে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল
হওয়ার একটা সম্ভাবনা দিল্লির বাতাসে ঘুরছে। তারই সূত্র ধরে বিজেপি শিবিরে এই নয়া গুঞ্জন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার স্থান পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য আরো দু একজন বঙ্গ সন্তানের নাম বাতাসে ভাসছে।
যারা বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে শুভেন্দু কে দেখতে চাইছেন তাদের দাবি, সুকান্ত কে দিল্লি মন্ত্রিসভায় সরিয়ে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
শুভেন্দু অধিকারী গোটা রাজ্যের সংগঠন দেখবার দায়িত্ব পেলে দল চাঙ্গা হবে বলেই মনে করছেন দলের শুভেন্দু পন্থী এই অংশ।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যান্য জেলার বিজেপি নেতারা পড়াভব মানলেও, শুভেন্দু অধিকারী নিজের জেলায় দাপটে ব্যাট করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের যতগুলি আসন বার করেছেন অন্য কোন জেলা তার ধারে কাছে নেই। পাশাপাশি মমতার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মত রাজনৈতিক পরিচিতি শুভেন্দু অধিকারীর রয়েছে। এই অবস্থায় শুভেন্দু রাজ্য দলের সভাপতি হলে তাকে প্রচারের কাজে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে।
শুভেন্দু পন্থীদের বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারী কে সভাপতি বানালে মাঠের লড়াই তে টিকে থাকতে সাহায্য হবে। কারণ শুভেন্দু নিজেওমাঠের লড়াই করে উঠে আসা লোক।
উল্লেখ্য এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এক নম্বর বিরোধীদলের জায়গাটা ধরে রাখতে পারলেও পরিস্থিতি বিজেপির পক্ষে খুব একটা সুখকর নয়। কারণ শূন্যে বিলীন হয়ে যাওয়া কংগ্রেস সিপিএম এবারের পঞ্চম নির্বাচনে দুর্দান্তভাবে উঠে এসেছে। কংগ্রেস সিপিএম ও আইএসএফের দখলে রাজ্যের প্রায় ২২ শতাংশ ভোট। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে পোলারাইজড হয়ে যাওয়া ভোটারের তত্বকে এই তথ্য চ্যালেঞ্জ করছে। পাশাপাশি বিজেপির ভোটের শতাংশ কমেছে নজরে পড়ার মতো। স্বাভাবিকভাবে বিজেপির মধ্যে শুভেন্দু পন্থীদের বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে হাল ধরবার জন্য শুভেন্দু কে চাই।