
সুজন-সেলিম? ওসব এখন অতীত মীনাক্ষীতেই মজলো সিপিএম !
।। সুমন গঙ্গোপাধ্যায়।।
হুম । বামেদের কাছে ‘বুর্জোয়া কবি’রবি ঠাকুরের গান কে আঁকড়ে শেষ পর্যন্ত ভেসে বা আরো ভালো করে বললে বেঁচে থাকতে হচ্ছে সিপিএমকে। রবীন্দ্র নাথ- সিপিএম, কি কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে মাথা, তাই না? একটু বুঝিয়ে বলি?মনে আছে সেই গান ” আমরা যৌবনেরই দুত।” এখন যেন সেই গানকেই নিজেদের theme song এ পরিনত করছে সিপিএম। বামেদের সম্পর্কে একটা চলতি কথা প্রচলন আছে, সিপিএমের শীর্ষে পৌঁছতে গেলে চুল পাকাতে হবে। অর্থাৎ সাদা চুলই যেন সিপিএম তথা বামেদের এর টিআরপি।লোকসভা- বিধানসভা তে শূন্য তে চলে যাওয়া সিপিএম ইদানীং সেই পাকা চুল এর ধারনা থেকে বেরিয়ে আসছে।
আর এখানেই তাদের ‘তুরুপের তাস’ মীনাক্ষী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুব ফেডারেশনের এই নেত্রীকে সামনে এনে হারানো জমি কিছুটা ফেরত পেতে চাইছে সিপিএম। এর পিছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ ও আছে। এই মুহূর্তে বাম তথা সিপিএম এ crowd puller নেতা র মারাত্মক অভাব। এক কথায় বলতে গেলে সুভাষ চক্রবর্তীর পর এই ধরনের নেতা সিপিএমে খুব একটা নেই। আর এই শূন্য স্থান অনেকটা পূরণ করছে এই যুব নেত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মীনাক্ষীকে সামনে এনে হারানো জমি কিছুটা হলেও ফেরত পেতে চাইছে সিপিএম। বিশেষ করে গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দি গ্রামের মতো হাই-প্রোফাইল সিটে প্রার্থী হনবিশেষ করে গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দি গ্রামের মতো হাই-প্রোফাইল আসনে প্রার্থী হন মীনাক্ষী। বরাবর বাম শরিক সিপিআই -এর হাতে থাকা এই আসন ২০২১ এ নিজেদের জন্যে চেয়ে নেয় সিপিএম। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সিপিএমের কোনও পরিচিত মুখ’ই প্রার্থী হওয়ার সাহস দেখান নি। প্রার্থী হন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।মাত্র ৬২৬৭ ভোট পেলেও দুই হেভিওয়েটকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। একদিকে মমতা অপরদিকে শুভেন্দু ,এই দুজনের মাঝেও মিডিয়ার আলো কেড়ে নিয়েছিলেন এই যুব নেত্রী। আর বলা যেতে পারে এই বিধানসভা নির্বাচন থেকেই নতুন নেত্রীকে তুলে আনে বামেরা। আর এখন তো কার্যত সেলিম- সুজনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলছেনমাত্র ৬২৬৭ ভোট পেলেও দুই হেভিওয়েটকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। একদিকে মমতা অপরদিকে শুভেন্দু ,এই দুজনের মাঝেও মিডিয়ার আলো কেড়ে নিয়েছিলেন এই যুব নেত্রী। আর বলা যেতে পারে এই বিধানসভা নির্বাচন থেকেই নতুন নেত্রীকে তুলে আনে বামেরা। আর এখন তো কার্যত সেলিম- সুজনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলছেনমাত্র ৬২৬৭ ভোট পেলেও দুই হেভিওয়েটকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। একদিকে মমতা অপরদিকে শুভেন্দু ,এই দুজনের মাঝেও মিডিয়ার আলো কেড়ে নিয়েছিলেন এই যুব নেত্রী। আর বলা যেতে পারে এই বিধানসভা নির্বাচন থেকেই নতুন নেত্রীকে তুলে আনে বামেরা। আর এখন তো কার্যত সেলিম- সুজনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।সূত্রের খবর, সিপিএম এর একটা বড় অংশ এই যুব নেত্রী র উত্থান মানতে না পারলেও ঠেলায় পরে মীনাক্ষীকে গিলতে হচ্ছে।অভিষেক এর স্পষ্ট ব্যখ্যা, ” দেখুন ২ টাকা চাঁদা তুলে বা গণশক্তি বিক্রি করে এখন আর মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না, আর যুবকদেরও কাছে টানা যাবে না।” আর সেক্ষেত্রে এখন সিপিএমও চোখ বন্ধ করে ভরসা করছে মীনাক্ষীকে। এর আরও একটা বড় কারণ এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বামেদের মুখ হিসাবে মীনাক্ষী অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে, এক – বয়স কম, দুই – লড়াই বা আন্দোলন করার মানসিকতা, তিন- মারাত্মক ভালো বক্তা, চার- জনগণের পালস বুঝে বক্তব্য রাখার ক্ষমতা, পাচ – মারাত্মক আক্রমনাত্বক। এর পাশাপাশি সারা বছর আন্দোলনের সঙ্গে থাকে। ( যেটা এই মুহূর্তে সুজন- সেলিমরা কার্যত ভুলেই গিয়েছেন) । প্রায় ১০৫ কিলোমিটার রাস্তা মানুষের দাবী নিয়ে হাঁটা ( ইনসাফ যাত্রা) সাম্প্রতিক সময়ের সেলিম- সুজনরা কবে হেঁটেছেন, তা নিয়েই আলাদা গবেষণা করা যাবে। এই ইনসাফ যাত্রা থেকে স্পষ্ট প্রায় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়া বাম কর্মীরা মীনাক্ষীকে দেখে আবার নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছে, বাইরে বেরিয়ে রাজনীতি করার জোড় পাচ্ছে। বামেদের এই ‘আকালে’ এ টুকু স্বপ্নই বা কে দেখায়? আর তাই খুব স্পষ্ট সেলিম- সুজন নয়, বামেদের নতুন ফিনিক্স পাখির নাম মীনাক্ষী।