
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল : কথায় আছে, মনের জোর থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব। এই ছবি যেন তারই উজ্জ্বল উদাহরণ।
শরীরের আশি শতাংশ সেভাবে কাজ করে না। কিন্তু বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তিনি তার সাফল্যের নজির রেখে চলেছেন। উচ্চমাধ্যমিকে তার সাফল্য বেশ নজরকা়ড়া। মাত্র চার নম্বরের জন্য ফার্স্ট ডিভিশন পাননি। আসানসোলের মহিশীলা হটাৎ গলির এলাকার বাসিন্দা অমৃতা ভৌমিক।
অমৃতা চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছেন. পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অমৃতার যখন ছ’মাস বয়স, তখনই পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তার শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করে না। কাজ করে না হাত, পা। কানে শুনতে পান না। দৃষ্টি শক্তিও কম ছিল। বহু নামকরা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে সাফল্য পাননি চিকিৎসকরা। খালি দৃষ্টিশক্তি কিছুটা বেড়েছে। আর এই দৃষ্টিশক্তি আর মনের জোরকে সঙ্গী করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছে অমৃতা রায়। ঠোঁট দিয়ে বইয়ের পাতা উল্টে তিনি পড়াশোনা করেন। নাক দিয়ে ঘষে ব্যবহার করেন মোবাইল। উচ্চ মাধ্যমিকের সাফল্যের পর তিনি ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়তে চান। হতে চান শিক্ষিকা।
মেয়ের এমন মনের জোর দেখে, পরিবারের সদস্যরাও অবাক। তারাও চান, মেয়ে নিজের মনের জোর সঙ্গী করে আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাক।
বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তার মনের জোর তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে নিরন্তর. শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলেছে অমৃতা.