
ওঙ্কার ডেস্ক : সোমবার আবার উত্তাল হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। স্পিকারের নির্দেশ অমান্য করে স্লোগান তোলার অভিযোগে সোমবার কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-কে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের নির্দেশে মার্শালের মাধ্যমে তাঁকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।
এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় তাঁকে কটাক্ষ করেন। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”বেশি কথা বলবেন না। আপনি কী করেন, সবটাই আমি জানি।” এই মন্তব্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য বিধায়করা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত আক্রমণ বিধানসভার শালীনতা ভঙ্গ করে। প্রসঙ্গত, আগের দিনও অগ্নিমিত্রা পালের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির।
বিজেপি বিধায়করা “চাকরি হারা শিক্ষকদের সমস্যা মেটাও”, “গণতন্ত্র বাঁচাও” স্লোগান দিতে থাকেন। এমন সময় মনোজ ওঁরাও স্পিকারের বারবার বারণ সত্ত্বেও প্রতিবাদে সরব হতে থাকেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ঘোষণা করেন, “এই ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না। স্পিকারের কথা না শুনলে সংসদের মর্যাদা থাকে না।” এরপরই সাসপেন্ড করা হয় মনোজ ওঁরাওকে।
বিধায়কের সাসপেনশন ঘিরে আরও ক্ষিপ্ত হয় বিজেপি শিবির। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে বিধানসভার বাইরে যান বিজেপি সদস্যরা। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা স্পিকারের সিদ্ধান্ত এবং মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।