
ওঙ্কার ডেস্ক : হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগরাস্তাগুলির মধ্যে একটি হল বাগনান-আমতা রাজ্য সড়ক। আমতা থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে এই সড়ক যুক্ত হয়েছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে। ফলে প্রতিদিন এই রাস্তায় হাজার হাজার যাত্রী বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করেন। চলে পণ্যবাহী ভারী গাড়িও।
কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এখন যাতায়াত করা যেন মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানোর সামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দুই চাকার গাড়ির আরোহীরা দিনদিন চরম বিপদের মধ্যে পড়ছেন। কারণ, এই রাস্তায় বহু জায়গায় চাকা স্লিপ করে ঘটছে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, নওপাড়া মোড় থেকে লাইব্রেরি মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার কিছু অংশে জেব্রা আঁচড় কেটে ফেলে রেখেছে রাস্তার নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা। এই আঁচড় আসলে পিচের নতুন প্রলেপ আগের রাস্তায় শক্তভাবে বসানোর জন্য করা হয়। কিন্তু সমস্যার শুরু ঠিক এখানেই। আঁচড় কাটার পর সেই রাস্তার উপর আর নতুন পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়নি।
ফলে তৈরি হয়েছে চোরা ফাঁদ! পথচারী ও দুই চাকার যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, এই খোলা আঁচড়ের ওপর গাড়ি চালাতে গেলেই চাকা পিছলে যাচ্ছে, যার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার অবরোধ ও দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি।
ফলে তৈরি হয়েছে চোরা ফাঁদ! পথচারী ও দুই চাকার যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, এই খোলা আঁচড়ের ওপর গাড়ি চালাতে গেলেই চাকা পিছলে যাচ্ছে, যার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার অবরোধ ও দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি।
প্রশ্ন উঠছে, কেন এই কাজ মাঝপথে থেমে গেল? কেন এখনও নওপাড়া থেকে লাইব্রেরি মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ করা হল না? যাত্রীদের মতে, এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখা মানে প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতি।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বাইক চালক সকলেরই দাবি, যত দ্রুত সম্ভব এই আঁচড়কাটা রাস্তায় সুরক্ষিত পিচের প্রলেপ দিয়ে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
এই অবস্থায় প্রশাসনের তরফে দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে, আরও বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ।