
প্রদীপ মাহাতো, বাঁকুড়া: ২০২৬ শে বিধানসভা নির্বাচন । হাতে আর মাত্র ১৫ মাস। সেকথা স্মরণ করিয়ে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটাতে উঠেপড়ে লাগলো তৃনমূল। দলের বিজয়া সম্মেলনে এসে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মিটিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করার বার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি তৃনমূলের রাজ্য নেতা সমীর চক্রবর্তী দলের পদাধিকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ দলে এসে নেতা হয়ে গেলাম, কালই প্রচুর টাকা করে ফেললাম, স্কর্পিও গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি এমন হলে মানুষ প্রশ্ন করবেই। মনে রাখবেন গনতন্ত্রের চাবুক মারাত্মক। এখানে শেষ কথা বলে মানুষই।”
বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা একসময় ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। ২০১১ সালে এই বিধানসভা যায় কংগ্রেসের হাতে। পরে কংগ্রেস বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ তৃনমূলে যোগ দিলে ওই বিধানসভায় তৃনমূলের শক্ত সংগঠন গড়ে ওঠে। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই বিধানসভায় পরপর দুবার তৃনমূল জয়ী হয়। কিন্তু ২০২১ সালে ফের পাশা বদলে ওই বিধানসভা যায় বিজেপির হাতে। পরে বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার দল বদলে তৃনমূলে যোগ দিলেও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ওই বিধানসভায় ফের এগিয়ে যায় বিজেপি। তৃনমূলের এই শক্ত জমিতে একের পর এক হারের জন্য তৃনমূল দায়ী করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দকেই। সূত্রের খবর দল বদল করে তৃনমূলে আসা বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকে মেনে নিতে পারায় গত লোকসভা নির্বাচনে ব্লক স্তরের বহু তৃনমূল নেতাই সেভাবে কাজ করেননি। এবার দলের অন্দরে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ মিটিয়ে ২০২৬ এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মরিয়া চেষ্টা দেখা গেল তৃনমূলের অন্দরে। দলের বিজয়া সম্মেলনে স্পষ্টতই তৃনমূলের রাজ্য নেতা সমীর চক্রবর্তী ব্লক ও জেলা স্তরের নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ নয়, সকলকে নিয়েই কাজ করতে হবে।