
সুরজিত দাস,নদীয়াঃ নদীয়ার হবিবপুর একটি প্রতিবাদ সভা থেকে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে জোরালো আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুটোই ভেঙে পড়েছে, রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে ওষুধ থেকে শুরু করে স্যালাইন সবই নিম্নমানের! সেই কারণেই এত শিশু মারা যাচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মুসলমানদের তোষন করে চলেছে।’
এদিন হবিবপুর স্টেশন সংলগ্ন রাঘবপুর বাজারে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে একটি সভার আয়োজন করে বিজেপি দক্ষিণ জেলা সংগঠন। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে হিন্দুদের উপর অরাজনৈতিকভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। হিন্দুদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে, শুধু তাই নয় বাড়িঘর এবং মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সেই বেলায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছুই দেখতে পারেন না। তখন চোখে কালো চশমা পরে থাকেন। আর যদি কোন মুসলিমদের উপর সেখানে অত্যাচারের খবর তিনি পান তাহলে তিনি প্রতিবাদ করতে শুরু করে দেন।’ অন্যদিকে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, এরা যে প্রায় ৪ হাজার প্রাইমারি স্কুল রয়েছে যেখানে কোন ছাত্র নেই। আর ৬০০০ প্রাইমারি স্কুল রয়েছে যেখানে মাত্র একজন করে শিক্ষক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নতুন করে কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না। এর থেকেই পরিষ্কার এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
এদিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও তিনি বলেন,’ওদেশে যারা লুট চালাচ্ছে তারা কেউ ওদেশের বাসিন্দা নন, তারা সকলে পাকিস্তান বংশোদভূত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা ওদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে আর তাদেরকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা ভোটে জিতছে।’ এ রাজ্যের মানুষকে তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেন যদি আপনারা সচেতন না হোন তাহলে আপনারাও কয়েকদিন পর এই দেশ থেকে হারিয়ে যাবেন।