
বিপ্লব দাশ, কনটেন্ট হেড: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ এই মেলা। গঙ্গাসাগর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় ব্যায় নিয়ে জল্পনা, সমালোচনা চলছে বহুদিন ধরেই।অন্যদিকে ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ কুম্ভমেলার থেকে প্রায় ২-৪ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের অনুমান করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।যদিও এবার কুম্ভ মেলা থাকার কারণে কম পুন্যার্থী আসার আশঙ্কা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই আশঙ্কাকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন এবারের গঙ্গাসাগর মেলায়।

গঙ্গাসাগর পরিদর্শন হোক বা উদ্বোধন, সব অনুষ্ঠান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরমেলার সঙ্গে তুলনা টেনেছেন কুম্ভ মেলার। এক মাসের বেশী সময় ধরে চলা কুম্ভ মেলাতে এবছর ৪৫ কোটির বেশী ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে অনুমান করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই মেলা আয়োজনে যথেষ্ট খরছ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের, তবে এই মেলা থেকে যোগী সরকার অন্তত ২ থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে । কিন্তু ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গে যে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কত আয়, সে নিয়ে খোলসা করেনি রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধীরা।তাদের বক্তব্য বছর বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে যে মেলা আয়োজন করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই মেলা থেকে কি লাভের টাকা আসছে না রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে?

বুধবার গঙ্গাসাগরে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘সব কিছুতে আয় দেখে ব্যয় করে না সরকার। ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে এই মেলার আয়োজন করে সরকার। বিরোধীদের কাজ শুধু সরকারের ভুল ধরা।’
প্রশ্ন, এখানেই এত টাকা ব্যয় হল। কোথা থেকে টাকা দেওয়া হল? সাগরে তীর্থযাত্রীদের কর দিতে হয় না। কিন্তু সড়ক ও জলপথে যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়, তার হিসেব কই?