
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার ধনধান্যে স্টেডিয়ামে ‘ছাত্র সপ্তাহ’-এর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে প্রথম থেকেই বেশ খোশমেজাজে দেখা যায় তাঁকে। এরপর মঞ্চে উঠে উপস্থিত পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবসময় শক্ত কথা ভাল লাগে না। কখনও কখনও একটু আনন্দ, একটু উল্লাস, করা উচিত। মন ভালো থাকে।
তারপর নিজেই নিজের বয়স নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন। তা করতে গিয়েই হঠাৎ বলেন, ‘সবাই আমার জন্মদিন, জন্মদিন করে। আমার মনে হয় আমি এখনও জন্মাইনি। এরপর কবিতার ছন্দে বলেন, ‘জন্ম হবে সেদিন, যেদিন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব’।
এমনকি নিজেরই নাম যে পছন্দ নয়, এদিন সেকথাও নিজের মুখেই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে স্কুল সার্টিফিকেটে তাঁর বয়সও ৫ বছর বাড়ানো আছে। সেকথা মঞ্চে উপস্থিত দাদাকে সাক্ষী রেখে বলেন তিনি। এমনকি কেন এমন হয়েছিল, এদিন তার ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা সব হোম ডেলিভারি তো! আমি যখন ছোট ছিলাম তখন নিজের নামটাও নিজে দিইনি। বয়সও নিজে দিইনি। পদবীও নিজে দিইনি। অনেকে আমাকে হ্যাপি বার্থ ডে বলেন। কিন্তু দিনটা আমার মোটেও পছন্দের নয়। ওটা সার্টিফিকেটের বয়স। বাবা-মা করে দিয়ে গিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘দাদা বলেছিল, সার্টিফিকেটে তোর আর আমার বয়সের মধ্যে ৬ মাসের পার্থক্য। বাবা স্কুলের হেডমাস্টারকে বলে আন্দাজে একটা বয়স বসিয়ে দিয়েছিলেন। আগের দিনে এই সমস্যা ছিল একাংশের যাঁরা বাড়িতে জন্মেছি। অর্থাৎ, হোম ডেলিভারি! কাজেই আসল বয়সটা কিন্তু লুকিয়ে থাকে’।